376
Published on অক্টোবর 26, 2015তিনি বলেন,‘রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অত্যাধুনিক থারমাল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে, ফলে এর থেকে ক্ষতিকারক কোন ধোয়া বের হবে না। এছাড়া সুন্দরবনের পরিবেশ সুরক্ষায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ধোয়া নির্গমনে ২৭৫ ফুট লম্বা চিমনি সংযুক্ত ব্যবহার করা হবে।’
সোমবার বিদ্যুৎ ভবনের মুক্তিহলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন,সুন্দরবন থেকে ৬৯ কিলোমিটার দূরে বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।আর স্থলপথে সরবরাহ করা হবে কয়লা। বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে দূষিত কোন ধোয়া নদীতে নির্গমন হবে না, ফলে জল বা বাতাসও দূষিত হবে না। এজন্য তিনি সুন্দরবন এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আশপাশের এলাকা নিয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার পরামর্শ দেন।
বিভিন্ন দেশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের পরিসংখ্যান তুলে ধরে নসরুল হামিদ বলেন,পৃথিবীর অনেক দেশ এখন বিকল্প জ্বালানী হিসেবে কয়লাচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দিকে ঝুঁকছে। যুক্তরাষ্ট্রে ৪০ শতাংশ, জার্মানে ৪১, জাপান ২৭, ভারত ৬৮ এবং চীনে ৭৯ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে। অন্যদিকে বাংলাদেশে মাত্র ২ দশমিক ২ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশের জীব-বৈচিত্র সুরক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে তিনি উল্লেখ করেন।