500
Published on অক্টোবর 19, 2015প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপষিদ সচিব এম মোশাররফ হোসেন ভূইঞা সাংবাদিকদের ব্রিফকালে বলেন, মন্ত্রিসভা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রী, ডেপুটি স্পিকার, আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যবৃন্দের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির ৬টি খসড়া সংশোধনী প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে। এতে বেতন-ভাতা প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত ৬টি সংশোধনী হচ্ছে- রাষ্ট্রপতির (বেতন-ভাতা : সংশোধনী) বিল-২০১৫, প্রধানমন্ত্রীর (বেতন-ভাতা : সংশোধনী) বিল-২০১৫, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীবৃন্দের (বেতন-ভাতা : সংশোধনী) বিল-২০১৫, স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের (বেতন-ভাতা : সংশোধনী) বিল-২০১৫, সংসদ সদস্যবৃন্দের (বেতন-ভাতা : সংশোধনী) বিল-২০১৫ এবং সুপ্রিম কোর্টের বিচারকবৃন্দের (বেতন-ভাতা : সংশোধনী) বিল-২০১৫।
এগুলো অর্থবিল হওয়ায় তা অনুমোদনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে। এরপর বিলগুলো জাতীয় সংসদে পেশ করা হবে। এতে চলতি ২০১৫ সালের ১ জুলাই থেকে বেতন এবং ২০১৬’র ১ জুলাই থেকে ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব এই বেতন বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বলেন যে, সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির পর রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পদেও বেতন-ভাতা পর্যালোচনা করা হয়।
সংশোধিত প্রস্তাবে রাষ্ট্রপতির বেতন বর্তমান ৬১ হাজার ২শ’ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার এবং প্রধানমন্ত্রীর বেতন ৫৮ হাজার ৬শ’ থেকে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকায় উন্নীত হবে।
আকাশ পথে ভ্রমণে রাষ্ট্রপতির বীমা সুবিধা ১৫ লাখ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২৭ লাখ টাকা করা হয়েছে। তবে রাষ্ট্রপতির বর্তমান স্বেচ্ছাধীন তহবিল ২ কোটি টাকা অপরিবর্তিত থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর জন্য আকাশ পথে ভ্রমণে বীমা সুবিধা ১৪ লাখ থেকে বৃদ্ধি করে ২৫ লাখ টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। স্বেচ্ছাধীন তহবিল ১ কোটি থেকে বাড়িয়ে দেড় কোটি টাকায় করা হয়েছে।
স্পিকারের বেতন ৫৭ হাজার ২শ’ থেকে ১ লাখ ১২ হাজার এবং প্রধান বিচারপতির বেতন ৫৬ হাজার থেকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
মন্ত্রী, ডেপুটি স্পিকার, জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা, চিফ হুইপ এবং আপিল বিভাগের বিচারকগণের বেতন ৫৩ হাজার ১শ’ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকগণের বেতন ৪৯ হাজার থেকে ৯৫ হাজার টাকা এবং প্রতিমন্ত্রী, জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা ও হুইপবৃন্দের বেতন ৪৭ হাজার ৮শ’ থেকে ৯২ হাজার টাকা হবে।
উপমন্ত্রীদের বেতন ৪৫ হাজার ১৫০ থেকে ৮৬ হাজার ৫শ’ এবং সংসদ সদস্যদের বেতন ২৭ হাজার ৫শ’ থেকে ৫৫ হাজার টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এছাড়া সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের নিজস্ব বাড়িতে থাকার ক্ষেত্রে ভাতা, আকাশ পথে ভ্রমণে বীমা সুবিধা, দৈনিক ভাতা ও স্বেচ্ছাধীন তহবিল এবং আনুসাঙ্গিক ভাতাও বৃদ্ধি করা হয়েছে।
মোশাররাফ হোসেইন ভূইঞা বলেন, বেসামরিক ও সামরিক পদের জন্য ৮ম বেতন কাঠামোর গেজেট চলতি মাসে বা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রকাশ হতে পারে।
বৈঠকে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০১৫ আইন হিসেবে প্রণয়নে দ্রুত জাতীয় সংসদে প্রেরণের প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়।
এছাড়া বৈঠকে অবহিত করা হয় যে, বাংলাদেশ অভিবাসন এবং ২০১৬’র জন্য উন্নয়ন সম্পর্কিত বৈশ্বিক ফোরামের সভাপতি হয়েছে। ইউনেস্কো ঢাকায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক ভাষা ইনস্টিটিউটকে ৩য় ক্যাটাগরী থেকে ২য় ক্যাটাগরীতে উন্নীত করেছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান ‘সেন্ট্রাল ব্যাংক গভর্নর অব দ্য ইয়ার-২০১৫ ফর এশিয়া’ মনোনিত হয়েছেন। এসব সাফল্যে মন্ত্রিসভা সন্তোষ প্রকাশ করে।
মন্ত্রীবর্গ, প্রতিমন্ত্রীবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট সচিবগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।