447
Published on অক্টোবর 5, 2015মন্ত্রিসভায় তাঁর নেতৃত্বের প্রশংসা করে গৃহীত একটি প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, দৃঢ় সংকল্প ও দূরদর্শীতার কারণে বাংলাদেশ সার্বিক উন্নয়নের একটি উজ্জ্বল নজির হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে এবং বাংলাদেশের সাফল্য আন্তর্জাতিক মহলের মনোযোগ আকৃষ্ট করতে পেরেছে।
নিউইয়র্কে গত মাসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭০তম অধিবেশন চলাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি (ইউনেপ) ‘চ্যাম্পিয়ন অব দি আর্থ পুরস্কার’ এবং আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) ‘টেকসই উন্নয়নে আইসিটি পুরস্কার’ প্রদান করে।
মন্ত্রিসভা বৈঠক অনুষ্ঠানের পর মন্ত্রি পরিষদ সচিব এম মোশাররাফ হোসাইন ভুইয়াঁ বলেন, মন্ত্রিসভা নিউ ইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত সফল সফর এবং আন্তর্জাতিক মহলে দেশকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে তাঁর যোগ্য নেতৃত্বের প্রশংসা করেছে।
মন্ত্রিসভা আইসিটি’র মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নে নেতৃত্বের স্বীকৃতি দিয়ে আইটিইউ থেকে চালু করা নতুন বার্ষিক সম্মান ‘টেকসই উন্নয়নে আইসিটি পুরস্কার’ লাভের জন্য বিশ্বের নয়জন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করার বিষয়টিকে বিশেষ করে অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে উল্লেখ করেছে।
চলতি বছর বিশ্ব নেতৃবৃন্দের মধ্যে আর যারা এই পুরস্কার লাভ করেছেন, তারা হচ্ছেন: গ্যাবন প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট আলী বোঙ্গো অনডিম্বা, কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াত্তা, রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামে, উরুগুয়ের প্রেসিডেন্ট তাবার ভাজকেজ, ফিজির প্রধানমন্ত্রী জোসাইয়া ভোরেক বাইনিমারামা, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতো শ্রী মোহাম্মদ নাজিব বিন তুন হাজি আবদুল রাজাক, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেনারেল প্রায়ুত চান-ও-চা এবং ভানুয়াতুর প্রধানমন্ত্রী মেলটেক সাতো কিলমান লিভতুভানু।
মন্ত্রি পরিষদের সদস্যবৃন্দ দৃঢ় আস্থা ব্যক্ত করেছেন যে, বাংলাদেশ এমডিজি সাফল্য অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টেকসই উন্নয়ন লক্ষসমূহ (এসডিজি) অর্জন করতে সক্ষম হবে।