বাংলাদেশে ৪৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে আগ্রহী চীন

441

Published on অক্টোবর 4, 2015
  • Details Image

এই দুটি শিল্পাঞ্চলে প্রাথমিক পযায়ে চীনের ৪৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত মা মিংচিয়াং। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।

রাজধানীর ইস্কাটনে বিআইআইএসএসের নিজস্ব সম্মেলন কেন্দ্রে ‘চীনের দ্রুত বর্ধনশীল বা তেজি অর্থনীতি এবং বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনা’ শীর্ষক এ আলোচনার আয়োজন করা হয়। বিআইআইএসএসের সভাপতি মুন্সী ফায়েজ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম আবদুর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিষয়ে আমি খুবই আশাবাদী। কারণ, চীনে এখন শ্রমঘন শিল্প গড়ে তোলার বিষয়ে উদ্যোক্তারা খুবই বেশি আগ্রহী হচ্ছেন না। চীনে শ্রমমূল্য অনেক বেড়ে গেছে। তাই চীনের বড় বড় উদ্যোক্তা শ্রমঘন শিল্প স্থানান্তরে আগ্রহী। সে ধরনের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিষয়ে আমরা উৎসাহিত করছি। তবে এ ধরনের বিনিয়োগ আকর্ষণের ক্ষেত্রে এ দেশের ব্যবসাসংক্রান্ত নীতি, প্রণোদনা ও স্থানীয় সুযোগ-সুবিধার বিষয়গুলোও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এশিয়া অঞ্চলে অবকাঠামো খাতে বার্ষিক ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৮০ হাজার কোটি ডলার। বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) পক্ষে এই ঘাটতি জোগান দেওয়া সম্ভব হবে না। এ ক্ষেত্রে এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক বা এআইআইবি এগিয়ে আসতে পারে। আর তাতে বাংলাদেশ ও চীনের একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। কারণ, বাংলাদেশও এই ব্যাংকের সদস্যরাষ্ট্র।

বাংলাদেশে নতুন নতুন শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং সহজ শর্তে বাংলাদেশকে দেওয়া ঋণের সুদহার আরও কমানো যায় কি না, এ বিষয়ে চীন সরকার কাজ করছে বলেও জানান মা মিংচিয়াং। পাশাপাশি ভিসা পদ্ধতি সহজ করার উদ্যোগ গ্রহণ, দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনা, পারস্পরিক সংযোগ বৃদ্ধিসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে অগ্রগতির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।

এ সময় চীনের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘ ৪০ বছরের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের নানা অর্জন ও চীনের অর্থনীতির বর্তমান চিত্র তুলে ধরেন। তিনি দাবি করেন, চীনের অর্থনীতি বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। কর্মসংস্থানসহ অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

TAGS:

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত