405
Published on অক্টোবর 3, 2015গতকাল দুপুরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, কৃষকদের ৩২ কোটি ৪৯ লাখ ৩২ হাজার ১৬০ টাকার উপকরণ ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, বৃষ্টিজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ১২ জেলায় ২ লাখ ১২ হাজার কৃষককে ২০ কোটি ৭৫ লাখ ৭ হাজার ৫০০ টাকা দেওয়া হবে। এ প্রণোদনা কর্মসূচির অর্থ ২ লাখ ১০ বিঘা জমিতে ফসল আবাদে সহায়তা করবে। এর মাধ্যমে কৃষকদের প্রায় ২১১ কোটি টাকা আয় হবে। অন্যদিকে আরও ১২ জেলায় উন্নত জাত ও নতুন উদ্ভাবিত ফসল আবাদে উৎসাহিত করতে প্রণোদনা দেওয়া হবে। এসব জেলার ৯৫ হাজার ১৫৮ জন কৃষককে ১১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে প্রায় ১০৭ কোটি টাকার ফসল তুলতে সক্ষম হবেন কৃষক।
সাধ্যের মধ্যে কৃষকদের সর্বোচ্চ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এই রবি মৌসুমে জেলাগুলোর প্রতিটি উপজেলা কমিটির মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে বীজ বিতরণ করা হবে। স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহায়তায় সাংসদ বা উপজেলা চেয়ারম্যান অথবা তাঁদের প্রতিনিধিরা এই সহায়তা দেওয়ার কাজে অংশ নেবেন। প্রণোদনা কর্মসূচিতে ব্যয়কৃত অর্থ কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাজেট বরাদ্দ থেকে দেওয়া হবে। এর জন্য অতিরিক্ত বরাদ্দের প্রয়োজন নেই।
মন্ত্রী জানান, বগুড়া, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, শেরপুর, পাবনা, নওগাঁ, নাটোর, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক কৃষকের জন্য গমের ক্ষেত্রে এক বিঘা জমির জন্য ২০ কেজি গমবীজ, ২০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১ হাজার ৪৩৫ টাকা। ভুট্টার ক্ষেত্রে প্রত্যেক কৃষক এক বিঘা জমির জন্য দুই কেজি ভুট্টাবীজ, ২০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার পাবেন। এতে ব্যয় হবে ১ হাজার ৩১৫ টাকা। সরিষার ক্ষেত্রে প্রত্যেক কৃষক এক বিঘা জমির জন্য এক কেজি সরিষাবীজ, ২০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার পাবেন। এতে ব্যয় হবে ৭৬৭ টাকা ৫০ পয়সা। আলুর ক্ষেত্রে প্রত্যেক কৃষক ১০ শতক জমির জন্য ৮০ কেজি আলুবীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার পাবেন। এতে ব্যয় হবে ২ হাজার ৭১০ টাকা।
এ ছাড়া বিএডিসির ৩২ টন, বিনা ও বারির পক্ষ থেকে বিভিন্ন ফসলের (শাকসবজিসহ) ১০ দশমিক ৩ টনসহ মোট ৪২ দশমিক ৩ টন বীজ পাওয়া যাবে; যা কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও বগুড়া জেলার অধিক ক্ষতিগ্রস্ত ১০ হাজার ২৫৭ জন কৃষকের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষিসচিব মোহাম্মদ নজমুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব ও বীজ উইংয়ের মহাপরিচালক আনোয়ার ফারুক, অতিরিক্ত সচিব মো. মোশারফ হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।