501
Published on সেপ্টেম্বর 27, 2015চীনের প্রেসিডেন্ট রোববার এখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের মূল কর্মসূচির ফাঁকে হোটেল ওয়ার্ল্ডফ অ্যাস্টোরিয়ায় এক গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ আশ্বাস দেন। এ সময় শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে চীনের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) গড়ে তুলতে তাঁর সরকারের ৭৭৪ একর জমি বরাদ্দ দেয়ার কথা জানান জিনপিংকে।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফকালে বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের দ্রুত অগ্রসরমান অর্থনীতির প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশকে চীনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতার অংশীদার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাঁদের অন্যতম সেরা বন্ধু হিসেবে অভিহিত করেন।
জিনপিং দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪০ বছর পূর্তির কথা স্মরণ করে বলেন, ইতোমধ্যে দু’দেশের উচ্চ পর্যায়ের অনেক সফর বিনিময় হয়েছে এবং আগামীতে আরো সফরের ব্যবস্থা হবে। তিনি বলেন, বাণিজ্য, অর্থনীতি ও শিক্ষা খাতে উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরো জোরদার করা যেতে পারে। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশ থেকে আরো পাটজাত পণ্য আমদানির আশ্বাস দেন।
চীনের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মায়ানমার করিডোর নির্মাণে শেখ হাসিনার ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, এই উদ্যোগ এ অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক সুবিধা বয়ে আনবে। উভয় নেতা জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থায় দু’দেশের আরো প্রতিনিধিত্বের ব্যাপারে একমত পোষণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে আশা প্রকাশ করেন যে, দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪০তম বার্ষিকী দ্বিপক্ষীয় সার্বিক অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করবে। তিনি বিদ্যমান বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে কিছু প্রতিকার ও অগ্রাধিকারমূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চীনের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী চীনের বাজারে আরো বেশি বাংলাদেশী পণ্য প্রবেশের সুযোগ দেয়া ও ‘আপটা রুলস অব অরজিন’ শিথিল করতে চীনের প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ জানান।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও ডা. দীপু মনি এমপি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মার্কিন কংগ্রেসের ৩ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে হোটেল ওয়ার্ল্ডফ অ্যাস্টোরিয়ায় দেখা করেন। প্রতিনিধিদলে ছিলেন কংগ্রেসের ফরেন এ্যাফেয়ার্স কমিটির কমিটির সদস্য এলিয়ট এল এঙ্গেল এবং মার্কিন কংগ্রেসের বাংলাদেশ ককাশের কো-চেয়ার জোশেফ ক্রাউলি ও সদস্য কারোলিন ভি মেলোনি।
মার্কিন কংগ্রেস সদস্যরা দারিদ্র্য নিরসণে শেখ হাসিনার সরকার এবং তাঁর নেতৃত্বে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
তারা সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতির প্রশংসা করেন এবং মায়ানমারের উদ্বাস্তু সমস্যা সঠিকভাবে মোকাবেলার জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানান।
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম অন্যান্যের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।