333
Published on সেপ্টেম্বর 27, 2015জাতিসংঘ সদর দফতরে রোববার জেন্ডার সমতা সংক্রান্ত বিশ্বের নেতৃবৃন্দের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নারীদের জন্য আরো সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি এবং রাজনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সরকারের কর্মকান্ডে তাদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করবে।
ইউএন এনটিটি ফর জেন্ডার ইকুয়ালিটি, এমপাওয়ারমেন্ট অফ উইমেন (ইউএন-উইমেন) এবং চীন যৌথভাবে জেন্ডার সমতা ও নারীদের ক্ষমতায়ন : পদক্ষেপের অঙ্গীকার শীর্ষক আলোচনার আয়োজন করে। এতে বিশ্বনেতৃবৃন্দ যোগ দেন।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন, মেক্সিকো ও কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট, ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রীসহ ১৭টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানগণ আলোচনায় অংশ নেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সর্বস্তরের জীবন-জীবিকার ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণের বিষয়ে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়। এ প্রসঙ্গে তিনি নারীদের কল্যাণের লক্ষ্যে তাঁর সরকারের কয়েকটি সফল কর্মসূচির উল্লেখ করেন।
এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত মেয়েদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা, ছাত্রীদের জন্য বৃত্তি, বিনামূল্যে সন্তান প্রসবপূর্ব ও পরবর্তী স্বাস্থ্যসেবা, সহজ ঋণ সুবিধা, বৃত্তিমূলক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ। তিনি আরো বলেন, সরকার নারীদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে সারাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো থেকে বিনামূল্যে ৩২টি ওষুধ দেয়া হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা আমাদের নারী ও মেয়েদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার অনুপ্রেরণা দেয়ার সুযোগ দেবে। এই সুযোগ আমাদের কাজে লাগাতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নারীদের বিরুদ্ধে সব ধরনের বৈষম্য ও সহিংসতার অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যেতে দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা আমাদের নারী ও মেয়েদের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করবো। শেখ হাসিনা বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাল্যবিবাহ বিমোচনের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। আমরা মায়ের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির বিষয়ে মনোযোগ দেয়া অব্যাহত রাখবে। আমরা শিশুদের জন্মলাভের সময় দক্ষ ধাত্রীদের সহায়তার হার বাড়ানোর জন্য কাজ করবো।
তিনি নারী ও মেয়েদের জন্য একটি উন্নত বিশ্ব গড়ে তোলা এবং সকল ক্ষেত্রে জেন্ডার সমতা অর্জনের লক্ষ্যে অঙ্গীকার গ্রহণের জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান।