392
Published on সেপ্টেম্বর 22, 2015দৃঢ় আস্থার সাথে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হবে এবং ২০৪১ সাল নাগাদ আমরা উন্নত দেশে পরিণত হব। বাংলাদেশের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণভাবে কার্যকর আছে এবং দেশের মানুষ এতে সন্তুষ্ট। আমি মানুষের উপর কর্তৃত্ব ফলাচ্ছি না-বরং তাদের সেবা করছি।’
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা বাংলাদেশে জাতিসংঘের দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচির কাজে সফলতার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হচ্ছেন। দেশের ভিতরও তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা আছে।
সাক্ষাত্কারে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার গণমাধ্যমের ব্যাপক প্রসারে সবচে বড় ভূমিকা পালন করছে। তার সরকারের সময়ে বহুসংখ্যক বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এবং প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকা আত্মপ্রকাশ করেছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘বাংলাদেশে গণমাধ্যমে এই পরিবর্তন কে এনেছে? আমাদের সরকারেরই সফলতা এটা। আমাদের দেশে এখন ৪১টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এবং সারাদেশে ৭শ’র বেশি সংবাদপত্র আছে। তারা তাদের স্বাধীনতা অনুযায়ী লিখছে। কি লিখবে আর কি লিখবে না, আমাদের দেশে তা সাংবাদিকদের কেউ বলে দেয় না। আর বাংলাদেশে বিভিন্ন এনজিও আইনের মধ্যে স্বাধীনভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।’ শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি গত বছরের নির্বাচন বর্জন করে নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মেরেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট বড় ব্যবধানে জয়লাভ করে। পরে বিএনপি ও তার বিতর্কিত ইসলামপন্থি জোটসঙ্গী জামায়াতে ইসলামী মিলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবিতে সহিংস আন্দোলনে নামে। তবে সেই আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে। এতে আরো বলা হয়, শেখ হাসিনা স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন যে ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে তিনি নিজে খালেদা জিয়াকে ফোন করেছিলেন। নির্বাচনে কারচুপির যে ভয় বিএনপি করে আসছিল তা দূর করতে সর্বদলীয় একটি অন্তর্বর্তী মন্ত্রিসভা গঠনের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। কিন্তু খালেদা জিয়া ভীষণ রেগে গিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেন। পরে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণের পরিবর্তে সহিংসতা সৃষ্টির পথ বেছে নেন।
গার্ডিয়ানকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে আপনাদের ওয়েস্টমিনিস্টার আদলের গণতন্ত্র চর্চা করি। তাই যতক্ষণ পর্যন্ত জনগণ আমাকে চাইবে, আমি ঠিক ততক্ষণ ক্ষমতায় থাকতে পারব। তারা যদি আমাকে না চায়, সমস্যা নেই। আমি মানুষের জন্য কাজ করছি। ক্ষমতায় থাকি আর না থাকি, মানুষের জন্য আমি কাজ করেই যাব।’
ক্ষমতা কুক্ষিগত করার অভিযোগ কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র কিংবা আইনের শাসন মোটেও দুর্বল নয়। আর পুলিশ এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ব্যাপকহারে মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা ঘটছে এমন অভিযোগও প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি।