413
Published on সেপ্টেম্বর 16, 2015সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী ড. জারিফকে বলেন, বাংলাদেশে কোন সম্প্রদায়িক সহিংসতা নেই। এখানে কেউ অন্যের ধর্মের অনুভূতিতে আঘাত হানতে পারবে না।
তিনি বাংলাদেশের জনগণের ধর্মীয় স্বাধীনতার উল্লেখ করে বলেন, এ দেশে প্রতিটি ধর্মের লোকের ধর্ম চর্চার অধিকার রয়েছে এবং কোন প্রকার বাধা ছাড়াই তারা তাদের ধর্ম চর্চা করছে।
বৈঠিক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
ড. জারিফ ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি প্রশ্নে ইরান ও ৬টি বড় দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করা হয়।
বৈঠকে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং ভিসা ইস্যুসহ পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এই চুক্তির প্রতি তার পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে এই চুক্তি কার্যকর হওয়া এবং বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে ইরানের অর্থনৈতিক সহযোগিতার সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে দৃঢ় আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইরান এবং বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহ্যগত সম্পর্ক রয়েছে। যা আগামী দিনগুলোতে আরো বৃদ্ধি পাবে।
প্রধানমন্ত্রী তার মাধ্যমে ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানির সুস্বাস্থ্য কামনা করেন।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ছয়টি দেশের স্বাক্ষরিত চুক্তির উল্লেখ করে বলেন, ইরান ও বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে সৃষ্ট বাধা একসময় দূর হয়ে যাবে।
ড. জারিফ ইরানের পারমাণবিক জ্বালানির শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহারে বাংলাদেশের সমর্থন জ্ঞাপনের প্রশংসা করে বলেন, ইরানের বর্তমান সরকার বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবরোধে সৃষ্ট সমস্যা নিজ উদ্যোগে সমাধানে আগ্রহী।
বৈঠকে ইরানের মন্ত্রী দু’দেশের মধ্যে একটি শক্তিশালী যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতার জন্য জ্বালানি ও যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন গঠনের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারাপ করেন।
তিনি বলেন, দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতার জন্য জ্বালানি ও বস্ত্র সেক্টরে একটি সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, কূটনৈতিক এবং সরকারি পাসপোর্টধারীর জন্য এ্যারাইভাল ভিসা চালু করার প্রস্তাব দেন।
প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভি, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত আব্বাস ভেজি দেহনাভি এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।