406
Published on সেপ্টেম্বর 12, 2015সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, কমনওয়েলথ মহাসচিব সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেছেন যে, শীর্ষ সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তন, জাতীয় দুর্যোগ কর্মসূচি এবং প্রথমবারের মতো মহিলা ফোরাম বিষয়ক বিশেষ অধিবেশন থাকবে।
মহাসচিব সম্মেলন ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব ও অংশগ্রহণ কামনা করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জলবায়ু ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকার প্রশংসা করেছেন।
কমলেশ শর্মা বলেন, কমনওয়েলথ বৈঠকে তরুণ ও অভিবাসন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে এবং রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও প্রিন্স অব ওয়েলস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিবেন।
প্রেস সচিব আরো জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান জোরদারকরণে বাংলাদেশের প্রয়াস সম্পর্কে কমনওয়েলথ মহাসচিবের সঙ্গে আলোচনা করেন। তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত সহিংসতা থেকে উদ্ভুত কিছু চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ২০১৩ সালে ও ২০১৫ সালের শুরুতে দেশে এক শ্রেণীর রাজনৈতিক দলের সৃষ্ট নৈরাজ্য ও সহিংসতার উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিকাশমান গণমাধ্যম পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে। তিনি বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানলে এবং সংবাদপত্রগুলো কিভাবে স্বাধীনতা ভোগ করছে তা ব্যাখ্যা করেন।
প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একটি বৈশ্বিক তহবিল গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাস মোকাবেলায় তাঁর সরকারের বিভিন্ন প্রয়াস তুলে ধরে বলেন, সরকার সন্ত্রাস রোধ করতে সাধ্য মতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গরহর রিজভি ও মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ অন্যান্যের মধ্যে এসময় উপস্থিত ছিলেন।