শিশুদের জন্য উন্নত পরিবেশ দেওয়াই সরকারের লক্ষ্যঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

331

Published on সেপ্টেম্বর 12, 2015
  • Details Image

শনিবার গণভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চিত্রাঙ্কণ ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশকে আমরা এমনভাবে গড়ে তুলতে চাই যে, প্রতিটি শিশু শিক্ষায়-দীক্ষায় উন্নত হবে। আধুনিক প্রযুক্তি-জ্ঞান সম্পন্ন হবে।

“বাংলাদেশ এখন সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্বসভায়। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। আজকের যারা শিশু তার যেন আগামীতে সুন্দর, উন্নত, শান্তিপুর্ণ জীবন পায় সেটাই আমাদের কাম্য।”

বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী ১৫০ শিশু পুরস্কার পেয়েছে।

বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সভাপতি শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে শিশুদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। শেখ হাসিনার ছোট বোন ট্রাস্টের সহ-সভাপতি শেখ রেহানাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা রাষ্ট্র পরিচালনা করি দেশের কল্যাণের জন্য, দেশের উন্নয়নের জন্য। মহান মুক্তিযুদ্ধ করে আমরা বিজয় অর্জন করেছি, আমরা বিজয়ী জাতি। বিজয়ী জাতি হিসেবে বাঙালি যেন বিশ্বসভায় মর্জাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়, মর্জাদা নিয়ে যেন চলতে পারি সেটাই আমরা চায়।”

যারা পুরস্কৃত হয়েছে তাদের সবার জন্য দোয়া ও আশীর্বাদ করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া প্রতিযোগিতায় অংগ্রণকারীদেরও অভিনন্দন জানান তিনি।

শিশুদের পুরস্কার অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করেন শেখ হাসিনা।

“বাঙালি হিসেবে বিশ্ব দরবারে আমাদের একটা মর্যাদা আছে। এই পরিচয়টুকুও আমরা পেতাম না যদি না জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ সংগ্রাম, আন্দোলন করে মহান মুক্তিযুদ্ধ করে এই বিজয় আমাদের এনে না দিতেন।”

ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে যে কাজ বঙ্গবন্ধু শুরু করেছিলেন, তার কথাও বলেন তিনি।

“কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, যারা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বিরোধিতা করেছিল, হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর দোসর ছিল এবং যারা যুদ্ধাপরাধী ছিল এবং যাদের বিচার বঙ্গবন্ধু শুরু করেছিলেন এদেরই ষড়যন্ত্রের কারণে; তারাই ষড়যন্ত্র করে ৭৫ এর ১৫ই অগাস্ট ধানমন্ডির ওই বাড়িতে জাতির পিতাকে সপিরবারে হত্যা করে।”

বাংলাদেশের মানুষের জন্য ধানমণ্ডির নিজেদের বাড়িটি উৎসর্গ করার কথাও বলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

“এই একটিমাত্র বাড়িই ঢাকা শহরে আমাদের ছিল্। যেহেতু আমার বাবা সারাজীবন এদেশের মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছেন, তাই আমরা দুই বোন সিদ্ধান্ত নিয়ে এ বাড়িটি বাংলাদেশের জনগণকে উৎসর্গ করেছি এবং স্মৃতি জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেছি, বঙ্গবন্ধু মোমোরিয়াল ট্রাস্ট করেছি।”

বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট থেকে একুশে অগাস্ট গ্রেনেড হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেয়া এবং একটি হাসপাতাল পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানান ট্রাস্ট সভাপতি শেখ হাসিনা।

TAGS:

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত