318
Published on সেপ্টেম্বর 11, 2015তিনি বলেন, গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রয়েছে বলেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। দেশ আর এখন পরমুখাপেক্ষী নয়, মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত।
তিনি বলেন, সরকারের প্রতি জনগণের বিশ্বাস ও আস্থা অব্যাহত থাকলে দেশ এগিয়ে যাবে এবং নির্ধারিত সময়সীমার আগেই মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়া সম্ভব হবে।
তিনি বৃহস্পতিবার সংসদে ১০ম জাতীয় সংসদের ৭ম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে এ কথা বলেন।
সংসদ সদস্যদের সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সততার শক্তি বড় শক্তি। আমি যা করি সততার সাথে করি বলেই কোন কথা বলতে কাউকে পরোয়া করি না। মানুষের ভালবাসা ও আস্থা অর্জন একজন রাজনীতিবিদের বড় প্রাপ্তি এবং এটাই আমার বড় শক্তি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালে নির্বাচন ঠেকানোর নামে জ্বালাও-পোড়াও এবং নৈরাজ্য-সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। ২০১৫ সালের প্রথম দিকেও ৯২ দিনব্যাপী এ ধরনের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য হয়েছে। নারী-শিশু-বৃদ্ধা কেউ তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। এসব হয়েছে দেশে গণতন্ত্র যাতে না থাকে। এসব মোকাবেলা করেই বিশ্বমন্দার মধ্যেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল।
তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ১০১ ভাগের উপরে বেতন বৃদ্ধি হয়েছে। এত ব্যাপকভাবে বেতন বৃদ্ধি আর কোন সরকারের আমলে হয়নি। প্রতি বছর নির্দিষ্ট হারে বেতন বৃদ্ধি পাবে। আন্তর্জাতিকভাবে এটাই করা হয়।
প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাট প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর আরোপিত ভ্যাট শিক্ষার্থীরা দেবে না। এটা দেবে কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার উন্নয়নে বর্তমান সরকার ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি জেলায় একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনসহ বিভিন্ন বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটাল ব্যবস্থায় সাড়ে চার কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে, ১২ কোটি মোবাইল সিম ব্যবহার হচ্ছে এবং এখন প্রায় সবাই প্রযুক্তির ব্যবহার করছে। সরকার চায় একটি আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন জাতি গঠন করতে।
শেখ হাসিনা বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। কোন মানুষ যাতে কষ্ট না পায় এবং তাদের ক্ষতি অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রতিনিয়ত বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিশু নির্যাতনকারীদের সাথে সাথে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ঢাকার জলাবদ্ধতা রোধে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজধানীর জলাবদ্ধতার প্রধান কারণ হচ্ছে- লেক, খাল, ঝিল, পুকুর এগুলো দিনের পর দিন ভরাট করা হয়েছে। ঢাকার জলাবদ্ধতা রোধে কুড়িল ফ্লাইওভারের পাশ দিয়ে একটি খাল খনন করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষতার সাথে রাষ্ট্র পরিচালনা করায় বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করা সম্ভব হয়েছে। জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস রোধে সরকারের দৃঢ় অবস্থান রয়েছে। কূটনৈতিক সফলতার কারণে প্রতিবেশী দেশের সাথে সুসম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে।
তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বিজয়ী জাতি হিসেবে বিশ্ব দরবারে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাই।