372
Published on সেপ্টেম্বর 6, 2015তিনি আজ সকালে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সন্মেলনে এ কথা উল্লেখ করে বলেন, বর্তমানে দেশে প্রাথমিক পর্যায়ে ৭৮ লাখ শিক্ষার্থী উপবৃত্তি পায় । শিগগিরই এ সংখ্যা এক কোটি ৩০ লাখে উন্নীত করা হবে।
মন্ত্রী আজ দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ৮ সেপ্টেম্বর আর্ন্তজাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে এক সংবাদসম্মেলনে এ কথা বলেন।
দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন এবং গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে সুশিক্ষিত ও দক্ষ মানব সম্পদ অপরিহার্য উল্লেখ করে তিনি বলেন,শিক্ষাক্ষেত্রে ঝরে পড়ার হার ও বৈষম্য হ্রাস পেয়েছে । শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধি পেয়েছে।
সরকার দেশের নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে স্বাক্ষর ও জীবন দক্ষতাভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি আধুনিক ও কর্মমুখী শিক্ষায় দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলতে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী বলেন,দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূর করতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। নিরক্ষরতা দূরীকরণের জন্য উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো’র মাধ্যমে সরকার সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে ‘মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প’ নামক একটি বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে।
এ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ৬৪টি জেলায় ১৫-৪৫বছর বয়সী ৪৫লক্ষ নিরক্ষরকে সাক্ষরতা প্রদান করা হবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন ।
তিনি বলেন, প্রযুক্তিনির্ভর এ বিশ্বে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সাক্ষরতার কোন বিকল্প নেই। জাতীয় শিক্ষানীতি ও জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় সরকার দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূর করে ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে বদ্ধপরিকর।
সংবাদসম্মেলনে নজরুল ইসলাম এমপি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মেজবাউল আলমসহ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ব থেকে নিরক্ষরতা দূরীকরণের লক্ষ্যকে সামনে রেখে ১৯৬৫ সনের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো থেকে ৮ সেপ্টেম্বর-কে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। প্রতিবছর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসে নানা কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়।
এবারের আর্ন্তজাতিক সাক্ষরতা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সাক্ষরতা আর দক্ষতা, টেকসই সমাজের মূলকথা’ ।