368
Published on সেপ্টেম্বর 6, 2015প্রতিমন্ত্রী আজ সংসদে জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম ওমরের এক প্রশ্নের জবাবে আরো বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের সময় ২০০৯ সালে দৈনিক গ্যাসের উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ১ হাজার ৭৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম সফল বাস্তবায়নের ফলে আগের তুলনায় দৈনিক ৯৫৬ মিলিয়ন ঘনফুট অতিরিক্ত গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, এই সময়ে ৩টি গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কার করা হায়েছে। উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি গ্যাসের সঞ্চালন ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য উচ্চ চাপ বিশিষ্ট ৭৬৭ কিলোমিটার সঞ্চালন পাইপলাইন ও তিনটি পাইপলাইন কম্প্রেসর স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। স্থলভাগের গ্যাসক্ষেত্রের মজুদ আগামী বাংলাদেশের জন্য যথেষ্ট না হওয়ায় ব্যাপক সাইসমিক সার্ভে জরুরি হয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, গত ৬ বছরে বাপেক্স ও দেশে কর্মরত আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানি (আইওসি) ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত ৫ হাজার ৭৬০ কিলোমিটার ২ডি এবং ৩ হাজার ৯৬ বর্গ কিলোমিটার ৩ডি সাইসমিক সার্ভের সম্পন্ন করেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে যেসব পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তা হচ্ছে- কূপ খনন, পাইপলাইন স্থাপন, এলএনজি আমদানি, ল্যান্ড বেসড এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ, সাইসমিক সার্ভে, সমুদ্রাঞ্চলে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান এবং পার্বত্য অঞ্চলে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান।