754
Published on আগস্ট 31, 2015তবে এ সময় বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারে আফ্রিকার দেশগুলো। সম্প্রতি এমন একটি জরিপ প্রতিবেদন তুলে ধরে বৈশ্বিক ব্যবস্থাপনা কনসালটিং প্রতিষ্ঠান ম্যাককিনসে অ্যান্ড কম্পানি। এতে বলা হয়, আগামী পাঁচ বছর ক্রেতারা বাংলাদেশের কাছ থেকে পোশাক ক্রয় বাড়াবে।
এ সময়ে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ৭-৯ শতাংশ করে প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে প্রতিবছর। বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী থাকবে ভারত ও ভিয়েতনাম। জরিপটি পরিচালিত হয় এ বছরের জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারিতে। এতে বিশ্বের শীর্ষ ৪০টি পোশাক ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের ৪০ জন প্রধান পারচেজিং অফিসারের (সিপিও) মতামত নেওয়া হয়েছে।
'সোর্সিং ইন অ্যা ভোলাটাইল ওয়ার্ল্ড : দি ইস্ট আফ্রিকা অপরচুনিটি' শীর্ষক এ প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক সিপিওরা আগামী পাঁচ বছরের জন্য পোশাকের শীর্ষ সরবরাহকারী দেশ হিসেবে পছন্দের তালিকায় বাংলাদেশকে রেখেছেন। এ ক্ষেত্রে ৪৮ শতাংশ উত্তরদাতা বাংলাদেশ শীর্ষ তিনে থাকবে বলে মতামত দিয়েছেন। ৬২ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন, তাঁরা আগামী পাঁচ বছর বাংলাদেশ থেকে ক্রয় বাড়ানোর চিন্তা করছেন।
জরিপে শীর্ষদশ পোশাক সরবরাহকারী দেশ হিসেবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম। ৩৩ শতাংশ উত্তরদাতা এ দেশটির পক্ষে মত দিয়েছেন। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে ভারত, মিয়ানমার এবং তুরস্ক। ৩০ শতাংশ উত্তরদাতা এ তিনটি দেশের পক্ষে মতামত দিয়েছেন। ২৩ শতাংশ উত্তরদাতা মত দিয়েছেন চীনের পক্ষে, ১৩ শতাংশ এগিয়ে রেখেছেন ইথিওপিয়াকে, ১০ শতাংশ ইন্দোনেশিয়ার পক্ষে এবং পাঁচ শতাংশ সিপিও মিসর, শ্রীলঙ্কা এবং তিউনিশিয়াকে শীর্ষ সরবরাহকারী দেশ হিসেবে স্থান দিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অবশ্যই উল্লেখ করা দরকার যে শীর্ষে থাকা এ তিন দেশের সম্মিলিত রপ্তানি ডলারের হিসাবে চীনের রপ্তানির মাত্র শতকরা তিন ভাগের এক ভাগ। নিশ্চিতভাবে পোশাক রপ্তানিতে এখনো জায়ান্ট দেশ চীন। বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির আটগুণ বেশি এখনো চীন থেকে যায়।
তবে সম্প্রতি অনেক পোশাক ক্রেতা কম্পানি চীন থেকে ফিরে যাচ্ছে। এর ফলে ভবিষ্যতে চীনের পোশাক রপ্তানি প্রতিযোগিতায় পেছাতে পারে। সিপিওদের প্রায় শতকরা তিন ভাগই বলেছেন, আগামী পাঁচ বছর চীন থেকে পোশাক সরবরাহ কমবে। তবে চীনের বর্তমান রপ্তানি পরিসংখ্যান দেখে তা মনে হয় না। জরিপে বলা হয়েছে, চীনের অনেক পোশাক কম্পানি এখন কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম এবং মিয়ানমার ও অন্যান্য সম্ভাবনাময় দেশে পোশাক কারখানা প্রতিষ্ঠার দিকে ঝুঁকছে।