561
Published on আগস্ট 24, 2015সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে দুটি চুক্তিতে অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা সাংবাদিকদের বলেন, “বিমসটেক এবং সারসোর সদর দপ্তরের কাজ পরিচালনায় দুটি চুক্তিতে সায় দিয়েছে মন্ত্রিসভা।”
‘হেড কোয়ার্টার্স এগ্রিমেন্ট বিটুইন দ্য গভর্নমেন্ট অব দ্য পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ অ্যান্ড সাউথ এশিয়ান রিজিওনাল স্ট্যান্ডার্স অর্গানাইজেশন (সারসো)’ এবং ‘হেড কোয়ার্টার্স এগ্রিমেন্ট বিটুইন দ্য গভর্নমেন্ট অব দ্য পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ অ্যান্ড দ্য সেক্রেটারিয়েট অব দ্য বে অব বেঙ্গল ইনেশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকনোমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক)’ অনুমোদন দেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ২০১৪ সালের ৩ এপ্রিল বাংলাদেশে সারসোর প্রধান কার্যালয়ের যাত্রা শুরু হলে এর প্রথম মহাপরিচালকের দায়িত্ব পান বাংলাদেশের নাগরিক ড. সৈয়দ হুমায়ুন কবির। পরে জুন মাসে ঢাকায় বিসমটেকের স্থায়ী সচিবালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। একই বছর ১৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন।
সংস্থার কাজ সম্পূর্ণ কার্যকরভাবে করতে হলে একটি ‘হেড কোয়ার্টার্স এগ্রিমেন্ট’ দরকার হয় বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, সারসোর হেড কোয়ার্টার্স চুক্তির মূল বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে সদর দপ্তর, আর্কাইভের অলঙ্ঘনীয়তা ও সম্পত্তির সুরক্ষা। হেডকোয়ার্টার্সের পালনীয় নিয়ম-কানুন তারা কী কী সুযোগ-সুবিধা পাবে, তাদের দায়-দায়িত্ব, কর্মকর্তাদের সুযোগ-সুবিধা ও দায়মুক্তি সম্পর্কে বলা হয়েছে।
এছাড়া সংস্থাটি কীভাবে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে চুক্তিতে সে বিষয়েও বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিমসটেক চুক্তিতে সংস্থার সচিবালয় ও সম্পত্তির কূটনৈতিক মর্যাদা, মহাপরিচালকসহ অন্যান্য কর্মীদের কূটনৈতিক সুযোগ-সুবিধার কথা বলা আছে। বিমসটেক সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তথ্য হালনাগাদ করা ও পরিচয়পত্র গ্রহণের নিয়মকানুনও এখানে বলা হয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সংস্থাটি কীভাবে যোগাযোগ করবে তাও চুক্তিতে বলা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।