চারদেশের মধ্যকার মোটরযান চলাচল চুক্তির খসরা অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা

439

Published on আগস্ট 24, 2015
  • Details Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম মোশররফ হোসেইন ভূইয়া সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

তিনি বলেন, চুক্তিটি কার্যকর করতে সংশ্লিষ্ট সরকারগুলো কর্তৃক এর অনুমোদন প্রয়োজন ছিলো।

তিনি বলেন, অন্যান্য দেশের সরকারগুলোর অনুসমর্থনের পর এই চুক্তি বাস্তবায়িত হবে।

মন্ত্রিসভা এর আগে চলতি বছর ৮ জুন এই অঞ্চলের ৪ দেশের মধ্যে যোগাযোগ উন্নয়নে চুক্তিটির খসড়ায় অনুমোদন দেয়।

এরপর ১৫ জুন ভুটানের থিম্পুতে ৪ দেশের যোগাযোগমন্ত্রীর বৈঠকে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মোটরযান চুক্তি বাস্তবায়নে একটি ত্রিপাক্ষিক সমাঝোতা ও প্রস্তাব স্বাক্ষর করতে হবে। এই সমঝোতা ও প্রস্তাব চূড়ান্ত করতে ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ৪ দেশের কর্মকর্তাদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, ৪ দেশের অংশগ্রহণে অক্টোবরে একটি মোটর র্যাতলি হবে। এ র্যাপলি ভারতের ভূবনেশ্বর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম হয়ে কোলকাতায় গিয়ে শেষ হবে।

মন্ত্রিসভায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) আইন-২০১৫ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিপিসি ১৯৭৬ সালে জারিকৃত সামরিক অধ্যাদেশ মোতাবেক পরিচালিত হচ্ছে।

মন্ত্রিসভার পূর্ববর্তী সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংশোধনী এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী এটি বাংলা ভাষায় অনুবাদ করে পেশ করা হয়।

তিনি বলেন, গত মার্চে প্রস্তাবিত আইনটি কিছু পর্যবেক্ষণ এবং আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং সাপেক্ষে নীতিগতভাবে অনুমোদন দেয়া হয়।

সচিব বলেন, এতে বলা হয়েছে, বিপিসি ৯ সদস্যের বোর্ড অব ডাইরেক্টর্স কর্তৃক পরিচালিত হবে। সরকার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত একজন পূর্ণকালীন চেয়ারম্যান এর প্রধান হবেন।

বোর্ডের ৮ সদস্যের মধ্যে ৩ জন হবেন পূর্ণকালীন সদস্য। জ্বালানি বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ ও অর্থ বিভাগ থেকে এক জন করে যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার এই ৩ জন সদস্য নেয়া হবে। অন্যান্য সদস্যদের নিয়োগ উন্মুক্ত থাকবে।

বৈঠকে বাংলাদেশ স্পেস রিসার্চ এন্ড রিমোট সেনসিং অর্গানাইজেশন (স্পারসো) (সংশোধনী) আইন ২০১৫ খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বিদ্যমান আইনটি আরো কার্যকর ও সময়োপযোগী করতে এ সংশোধনী আনা হয়। সংশোধিত খসড়ায় বলা হয়েছে, স্পারসো ৫ সদস্যের বোর্ড অব ডাইরেক্টর্সের অধীনে পরিচালিত হবে। সরকার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত একজন পূর্ণকালীন চেয়ারম্যান এর প্রধান হবেন। স্পারসো থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত এর দুই সদস্যের পদমর্যাদা হবে প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার সমমান। অপর দুই জনের নিয়োগ উন্মুক্ত থাকবে।

মন্ত্রিসভা সাউথ এশিয়ার রিজিওনাল স্টান্ডার্স অর্গানাইজেশন (সারসো) এবং বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল এন্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) প্রধান কার্যালয় স্থাপনে দুটি চুক্তির খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে।

ভূইয়া বলেন, বাংলাদেশে এই দু’টি সংস্থার মত যেকোন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সচিবালয় স্থাপনে এ ধরনের চুক্তির প্রয়োজন রয়েছে। এই চুক্তির আওতায় এ দু’টি সংস্থা আরো সক্রিয়ভাবে কাজ করা এবং কূটনৈতিক ও দায়মুক্তির সুবিধা পাবে।

বিমসটেক ও সারসোর মত দু’টি আন্তর্জাতিক সংস্থার সচিবালয় বাংলাদেশে স্থাপনকে সরকারের বড় ধরনের কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।

বৈঠকে ২২ থেকে ২৪ জুলাই শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর বেলারুশ সফর সম্পর্কে অভিহিত করা হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বৈঠকে পেশকৃত অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ (সংশোধন) আইন ২০১৫ আইন মন্ত্রণালয় ও ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ফেরত পাঠানো হয়।

মন্ত্রিসভা মনে করে বিশেষ করে আইনগত বিষয়সহ এই খসড়া প্রস্তাবের আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে।

মোশাররাফ হোসাইন বলেন,আজকের বৈঠকে এই খসড়া নীতিগত অনুমোদনের জন্য পেশ করা হয়। প্রচলিত প্রথা হচ্ছে যে, কোন খসড়া আইন অনুমোদনের পর তা ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু পেশকৃত আইনটিতে যাতে কোন ধরনের ত্রুটি না থাকে, এজন্য এতে আগেই আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিতে ভূমি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আইন মন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত আইনটির সব ধারা পরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে দেখবে এবং ভূমি মন্ত্রণালয় প্রয়োজন হলে আবারো তা মন্ত্রিসভায় পেশ করবে। আইনটির বাস্তবায়ন নির্বিঘ্ন ও সহজ করতে এতে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হয়েছে।

খবরঃ বাসস

TAGS:

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত