408
Published on আগস্ট 23, 2015অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কনফারেন্স’র (ওআইসি) মহাসচিব আইয়াদ আমিন মাদানী রোববার এখানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে বলেন, মুসলিম দেশগুলোতে সন্ত্রাসীদের কতিপয় কার্যক্রমের সুযোগ নিয়ে অন্যরা এ থেকে সুবিধা নিচ্ছে।
'ইসলাম হচ্ছে শান্তির ধর্ম, যা আমাদের সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়’ একথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, মুসলিম দেশগুলো একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করছে এবং এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।
তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা কেবলই সন্ত্রাসী এবং এ ক্ষেত্রে ধর্মের কোন বিষয় নেই।’
সৌদি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলা সম্পর্কে আলোচনায় শেখ হাসিনা ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ইসলাম এ ধরনের ঘৃণ্য কার্যক্রম কখনোই সমর্থন দেয় না।
তিনি আলোচনার মাধ্যমে মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সংঘাত নিরসনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
শিক্ষাখাতে ওআইসি’র ভূমিকা ও উদ্যোগে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভিত্তিক শিক্ষার প্রতি জোর গুরুত্ব দেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশে বিজ্ঞান ও আইসিটি ভিত্তিক শিক্ষার উন্নয়নে তাঁর সরকার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভিত্তিক অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে।
তিনি বলেন, পাশাপাশি পৃথকভাবে তহবিল বরাদ্দ দেয়ার মাধ্যমে তাঁর সরকার গবেষণা কার্যক্রমের উন্নয়ন ঘটাচ্ছে।
অতীতে মুসলিম গবেষকদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁরাই ছিলেন বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণার পথিকৃৎ। তাই মুসলিম সম্প্রদায়কে এখন এ বিষয়ে মনোনিবেশ করতে হবে।
ওআইসি মহাসচিব বলেন, সংস্থার মূল দর্শন হচ্ছে মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সংহতি গড়ে তোলা। বাংলাদেশ সবসময়ই ওআইসি কার্যক্রমের পুরোভাগে রয়েছে এবং যথাযথ ভূমিকা পালন করছে।
ওআইসি মহাসচিব ২০১৬ সালে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিতব্য আগামী ওআইসি সম্মেলনে যোগদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ অন্যান্যের মধ্যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
খবরঃ বাসস