503
Published on আগস্ট 18, 2015একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে নগরীর শেরে বাংলানগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে গতকাল অনুষ্ঠিত চলতি অর্থ বছরের ৪র্থ একনেক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।
পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, সরকার জাতীয় কোষাগার থেকে ৩,৮১৪ কোটি টাকা দেবে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান নিজস্ব তহবিল থেকে বাকী ১৪৭ কোটি টাকা দেবে ৬টি প্রকল্পের ব্যয় মেটাতে। চারটি প্রকল্প নতুন এবং দু’টি প্রকল্প সংশোধিত। অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান এবং পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
একনেক সভায় ৩৫৩.৪৫ কোটি টাকার উন্নত মানের ধান, গম ও শষ্য বীজ উৎপাদন ও উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের অধীনে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষকদের মধ্যে বিতরণের জন্য প্রায় ১৫০ মেট্রিক টন ধান, গম ও শষ্যসহ উন্নতমানের বীজ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিতরণ করা হবে।
মোস্তফা কামাল বলেন, বার্ষিক ৩৭০ মেট্রিক টন বীজের চাহিদা রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে চাহিদার ৩৭ ভাগ পূরণ হবে। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) ২০২০ সালের জুনের মধ্যে ৬টি বিভাগে ৩৫টি জেলায় ১৬৬টি উপজেলায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
সভায় ১,২৫৩ কোটি টাকা ব্যয় (প্রথম সংশোধিত) সাপেক্ষ বাংলাদেশের নদী পুনঃখননের জন্য ড্রেজার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি ক্রয় করা সংক্রান্ত একটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের অধীনে ২১টি ড্রেজার কেনা হবে।
তিনি আরো জানান, সারাদেশে ক্যাপিটাল ড্রেজিংএর জন্য প্রায় ২১৬টি ড্রেজার কেনা হবে। এ জন্য ৩১ কোটি টাকা প্রয়োজন হবে।
একনেক সভায় ২৫০ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পাঁচটি এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ‘সিসি রোড, ড্রেন ও ফুটপথ উন্নয়ন’ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।
প্রকল্পের মোট ব্যয়ের মধ্যে সরকার দেবে ১৭৫ কোটি টাকা। বাকী ৭৫ কোটি টাকা নিজস্ব তহবিল থেকে দেয়া হবে।
প্রকল্পের অধীনে প্রায় ১৬৯ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন করা হবে। প্রায় ১৮৭.৬৩ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ এবং প্রায় ২৫.১৯ কিলোমিটার ফুটপথ উন্নয়ন করা হবে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
সভায় কালুখালি-ভাটিয়াপাড়া সেকশন সংস্কার এবং কাশিয়ানি-গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া নতুন রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প শীর্ষক প্রথম সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। ২০১৩ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পটি রেলপথ মন্ত্রণালয় ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে।
প্রকল্পের অধিনে কাশিয়ানি-গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়া রুটে নতুন রেলপথ নির্মাণ করা হবে। এটি কালুখালি-ভাটিয়াপাড়া এবং কাশিয়ানি-গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়া সেকশনের সাথে সংযুক্ত হবে।
একনেক সভায় ৩৬.৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বিসিএসআইআর এর প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনা হস্তান্তরের জন্য ভৌত সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।
সভায় ৪৪.৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিসিএস প্রশাসনিক একাডেমী ভবন সম্প্রসারণ ও প্রশিক্ষণ সুবিধা বাড়ানোর জন্য আরেকটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়।
সভায় মন্ত্রিবর্গ এবং প্রতিমন্ত্রীগণ যোগ দেন। পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যগণ এবং সংশ্লিষ্ট সচিবগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।