415
Published on আগস্ট 11, 2015নির্বিঘ্ন নৌ-পথ যোগাযোগ নিশ্চিত করতে বছরে ২৩২ দশমিক ৫০ লাখ কিউবিক মিটার নদী খননে বিআইডব্লিউটিএ’কে সক্ষম করতে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে ক্যাপিটাল ড্রেজিং এবং টেকসই নদী ব্যবস্থাপনার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রেক্ষিতে ড্রেজার ও যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হচ্ছে।
সমীক্ষায় প্রায় ২৩ বড় ও মাঝারি নদী ড্রেজিং-এর জন্য প্রায় ২১৬টি কাটার সাকশন ড্রেজার সংগ্রহ করার পরামর্শ দেয়া হয়।
নৌ মন্ত্রণালয়ের অধিনে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির বৈঠকে এই প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়। চলতি অর্থবছরে অনুষ্ঠিত একনেকের এটি তৃতীয় বৈঠক।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ড্রেজার কেনাসহ মোট ২,৩৮৪ কোটি টাকার সাতটি উন্নয়ন প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে। মোট প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে সরকার জাতীয় কোষাগার ২,৩৭২ দশমিক ৮৫ কোটি টাকা দেবে। বাকি টাকা সংশ্লিষ্ট সংস্থা নিজস্ব তহবিল থেকে দেবে। সাতটি প্রকল্পের মধ্যে ছয়টি নতুন এবং একটি সংশোধিত প্রকল্প।
কামাল বলেন, ড্রেজার ক্রয় প্রকল্পের অধিনে প্রথম দুই বছরে প্রায় ১০টি ড্রেজার সংগ্রহ করা হবে। প্রকল্প মেয়াদের শেষ দু’বছরে বাকি ১০টি ড্রেজার কেনা হবে।
বিআইডব্লিউটিএ’র বর্তমানে ১৮টি ড্রেজার রয়েছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ আরো তিনটি ড্রেজার কেনা হবে।
এতে মোট ড্রেজার সংখ্যা হবে ২১টি। এতে বছরে মোট ড্রেজিং ক্ষমতা হবে ১১০ লাখ কিউবিক মিটার। তবে দেশে নৌ-পথে নাব্যতা স্বাভাবিক রাখতে বছরে ৮৮২.৫৩ লাখ কিউবিক মিটার ড্রেজিং করা প্রয়োজন।
একনেক সভায় ৩৬.৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে সোনাহাট স্থলবন্দর উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ স্থল বন্দরের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন করবে।
একনেক সভায় ৫৮.৬৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বিজিবি সদর দফতরে জেসিও এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের জন্য ১৫-তলা বিশিষ্ট দু’টি আবাসিক ভবন নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন করেছে।
সভায় অনুমোদন দেয়া অন্য প্রকল্পসমূহ হচ্ছে গোদাগারি-আমনুরা-নাচল-পার্বতীপুর-আড্ডা সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প (৬২.৪৯ কোটি টাকা), রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সড়ক উন্নয়ন ও ড্রেন কাম ফুটপথ নির্মাণ প্রকল্প (৬০ কোটি টাকা), চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় শেখ রাসেল এভাইয়ারী ও ইকো পার্ক প্রতিষ্ঠা প্রকল্প (৪০ দশমিক ৪০ কোটি টাকা, নওগাঁর জেলায় সেচ সুবিধা বৃদ্ধি ও ভূ-পৃষ্ঠের পানির সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্প (৭৯ দশমিক ১৩ কোটি টাকা)।
সভায় মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীগণ যোগ দেন। পাশাপাশি পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যবর্গ ও সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।