531
Published on আগস্ট 3, 2015প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল বাংলাদেশ সচিবালয়ের মন্ত্রিসভা কক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইয়া বলেন, উভয় খসড়া আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং সাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত নতুন আইন অনুযায়ী অবৈধ পন্থায় কেউ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসলে তিনি অবসর ভাতা, আনুতোষিক ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন না।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইন অনুযায়ী কোন অবসরপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি তাঁর বেতনের ৭৫ শতাংশ অবসর ভাতা হিসেবে পাবেন। তবে তিন ক্ষেত্রে কোন অবসরপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি এই আর্থিক সুবিধা পাবেন না। প্রথমতঃ কোন অবসরপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি অন্য কোন সরকারি দায়িত্ব পালন এবং সরকারের সংরক্ষিত তহবিল থেকে বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা নিয়ে থাকেন, দ্বিতীয়তঃ কোন রাষ্ট্রপাতি নৈতিক স্খলন অথবা অন্য কোন অপরাধে দন্ডিত হলে, তৃতীয়তঃ আদালত কর্তৃক কোন রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা দখলকে অবৈধ ঘোষিত হলে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো বলেন, আইনের খসড়াটি গত ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে কিছু পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনা দিয়ে চূড়ান্ত করা হয়েছিল।
রাষ্ট্রপতির অবসর ভাতা ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধার বিষয়টি প্রথম নির্ধারিত হয় ১৯৭৯ সালের ‘প্রেসিডেন্ট পেনশন অর্ডিনেন্স’ অনুযায়ী। পরবর্তীতে ১৯৮৮ সলে সংশোধিত হয়ে আইন হয়।
স্বাধীনতার পর থেকে দায়িত্ব পালনকারী সকল রাষ্ট্রপতির ক্ষেত্রে এই আইন প্রযোজ্য হবে। এতে মৃত বা অবসরপ্রাপ্ত কোন রাষ্ট্রপতি অবসর ভাতা ও আনুতোষিক গ্রহণ করে না থাকলে তাঁর প্রতিনিধি বা প্রতিনিধিবর্গ বা উত্তরাধিকারীরা এ অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ মুদ্রা (সংশোধনী) আইন-২০১৫’র খসড়া আইনে পাঁচ টাকা মূল্যের কাগুজে নোট বা মুদ্রা ইস্যু করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে সরকারকে। এ আইনে এক পয়সা থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত সব মূল্যমানের কাগুজে নোট ও মুদ্রা সরকারি নোট হিসেবে গণ্য হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পাঁচ টাকা মূল্যমানের সরকারি ও ব্যাংক নোট উভয়ের বৈধতা থাকবে এবং একই সঙ্গে লেনদেন হবে।
পাঁচ টাকা মূল্যমানের সরকারি নোট পর্যায়ক্রমে একই মূল্যমানের ব্যাংক নোটের স্থলাভিষিক্ত হবে।
তিনি বলেন, নতুন সরকারি নোট চালুর ফলে কোন মুদ্রাস্ফীতি ঘটবে না। কারণ নতুন নোটের অর্থের পরিমাণ হবে চালু মোট অর্থের পরিমাণের চেয়ে খুবই নগণ্য। ব্যাংক নোট সরিয়ে নেয়ার পর মোট অর্থের পরিমাণে সরকারি নোটের হিস্যা হবে মাত্র ১.৫ শতাংশ।