444
Published on জুলাই 6, 2015একটি মহাপরিকল্পনার অধীনে পর্যটন নগরীর উন্নয়ন এবং অপরিকল্পিত অবকাঠামানো নির্মাণ বন্ধ করার লক্ষ্যে এই অনুমোদন দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম মোশাররাফ হোসাইন ভূইয়া বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, চূড়ান্ত অনুমোদনপ্রাপ্ত কক্সবাজার শহরের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব বিবেচনা করে পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য একটি মাস্টার প্লানের আওতায় এ পর্যটন শহরের উন্নয়ন, ভূমির অঞ্চল বিভাজন (ল্যান্ড জোনিং) ও চলমান ঝুঁকিপূর্ণ নির্মাণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে এ আইনের অনুমোদন দেয়া হয়।
এখন এটি অনুমোদনের জন্য জাতীয় সংসদে পেশ করা হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ হবে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট। এর মধ্যে ৪ জন পূর্ণকালীন এবং অপর ১১ জন বিভিন্ন পেশাজীবী, প্রশাসনিক ও নির্বাচিত সংস্থা থেকে নেয়া হবে।
বৈঠকে জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ (আইসিটি) নীতিমালা-২০১৫’র খসড়ার অনুমোদন দেয়া হয়। বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয় এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করতে জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন ও সরকারের ভিশন বাস্তবায়নে আইসিটি’র কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে এ নীতিমালা তৈরি করা হয়।
তিনি বলেন, আইসিটি নীতিমালা হবে উন্নয়নমূলক ও প্রচারকেন্দ্রিক। সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে আইসিটি নীতিমালা ব্যবহার করা হবে।
মোশাররাফ হোসাইন বলেন, নীতিমালায় ১০টি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য, ২৩৫ প্রোগ্রামের একটি এ্যাকশন প্লানসহ ৫৪ কৌশলগত থিম রয়েছে। যা বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী কর্মপরিকল্পনার আওতায় ২০১৬, ২০১৮ ও ২০২১ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে।