402
Published on জুলাই 1, 2015বছরব্যাপী ফলদায়ী কর্মকান্ড সম্পন্নে এসব সংস্থাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এ চুক্তি হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম এবং অধীনস্থ মোট ৬ সংস্থার প্রধানদের মধ্যে ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্বাক্ষরিত এ চুক্তিভুক্ত সংস্থাগুলো হচ্ছে- বিনিয়োগ বোর্ড, বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ বেপজা), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), এনজিও বিষয়ক ব্যুরো, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব কার্যালয় (পিপিপিও) এবং আশ্রায়ন প্রকল্প।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী অধীনস্থ বিগত বছরে ৫ সংস্থার কর্মকান্ডের ফলাফলের উল্লেখ করে বলেন, এই চুক্তি নিশ্চিতভাবে সংস্থাগুলোর ভাল কাজ সম্পাদনের গতি ত্বরান্বিত করেছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, এ কর্মসম্পাদন চুক্তি জন প্রত্যাশানুযায়ী আরো কার্যকরভাবে জনসেবা দিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝে গতিশীলতা আনবে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ স্বাগত বক্তৃতা দেন। এতে গত বছর কর্মসংস্থান চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে অর্জিত সাফল্য উপস্থাপন করেন গভর্নমেন্ট ইনোভেশন ইউনিটের প্রধান আবদুল হালিম।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, ড. গওহর রিজভী ও ড. মশিউর রহমান এবং বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. এস এ সামাদ, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রত্যেকে মিলেমিশে আন্তরিকতা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলে বাংলাদেশ স্বল্প সময়ের মধ্যে দারিদ্র্য দূর করতে সক্ষম হবে।
তিনি বলেন, ‘কেবল নিজেকে নিয়ে ভাবলে চলবে না, মানুষের জন্য চিন্তা করতে হবে। দেশের মানুষ ভালভাবে বাঁচতে পারলে সবার জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত হবে।’
আওয়ামী লীগ ব্যবসা করার জন্য ক্ষমতায় আসেনি একথা পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বরং ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয় এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করতে তাঁর সরকারের ভিশন বাস্তবায়ন করে জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে তার দল ক্ষমতায় এসেছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সুশাসন প্রতিষ্ঠা,গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা শক্তিশালী ও ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
এলক্ষ্য অর্জনে প্রধানমন্ত্রী জনসেবামূলক কর্মকান্ড সম্পাদনে আমলাতান্ত্রিক মানসিকতার উর্ধ্বে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং অনেক সরকারি ও বেসরকারি খাতের অভিজ্ঞতা নিয়ে গত বছর অধীনস্থ সংস্তাগুলোর বার্ষিক কর্মদক্ষতা বাড়াতে কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরের রূপরেখা প্রণয়ন করে।
এর আলোকে গত অর্থবছর সরকার ৪৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর করে এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে এর অধীনস্থ ৫ সংস্থার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন ব্যবস্থা হচ্ছে- নাগরিক সেবায় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা মূল্যায়নের এক কার্যকর পদ্ধতি। এই ব্যবস্থার যথাযথ প্রয়োগ সরকারি সংস্থার কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করতে পারে।