425
Published on জুন 8, 2015চুক্তিটি চূড়ান্ত হলে এই চার দেশের মধ্যে যাত্রীবাহী, পণ্যবাহী ও ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল করতে পারবে। আগামী ১৫ জুন ভুটানে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বলেন, এ সম্পর্কিত একটি খসড়া কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে উত্থাপিত হয়েছিল। কিন্তু একটি দেশের অপ্রস্তুতির কারণে তা স্বাক্ষর হয়নি।
তিনি বলেন, ‘মোটর ভেহিকেলস এগ্রিমেন্ট ফর রেগুলেশন অব প্যাসেঞ্জারস, পার্সোনাল এন্ড কার্গো ভেহিকুলার ট্রাফিক বিটুইন বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপাল’ শীর্ষক এই চুক্তি ১৫ জুন ভুটানে অনুষ্ঠিতব্য পরিবহন মন্ত্রীদের বৈঠকে স্বাক্ষরিত হতে পারে।
খসড়ায় এই চার দেশের অনাপত্তির ভিত্তিতে আগামীতে অন্য কোন দেশকে এ চুক্তির অন্তর্ভুক্ত করা যাবে। চুক্তিটি প্রতি ৩ বছর বা এর আগেও নবায়নের বিধান রয়েছে। কোন দেশ ইচ্ছা করলে ৬ মাসের সময় দিয়ে চুক্তি থেকে বেরিয়ে যেতে পারে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, চুক্তি বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় প্রটোকল অনুমোদনের পর এটি কার্যকর হবে। তবে সব দেশ একমত থাকলে প্রটোকল চূড়ান্ত করতে সময় নেবে না।
মন্ত্রিসভায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর (৬ ও ৭ জুন-২০১৫) অত্যন্ত সফল করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রয়াসের জন্য তাঁকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে এক প্রস্তাব গৃহীত হয়।
প্রস্তাবে বলা হয়, শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা, প্রজ্ঞা, আন্তরিকতা, আগ্রহ, নেতৃত্ব, ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক সহযোগিতার লক্ষ্যে তাঁর দৃঢ় অঙ্গীকারের কারণেই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এ সফল সফর সম্ভব হয়েছে।
বৈঠকে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের সমন্বিত ভূমি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০১৫ ফেরত দেয়া হয়। এতে তাদের রাস্তার পাশের জমি সকল মন্ত্রণালয়ের জন্য ব্যবহারের সমন্বিত নীতিমালা অন্তর্ভুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়।
বৈঠকে ডব্লিউটিও’র এগ্রিমেন্ট অন ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন সম্পর্কিত একটি প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় পরবর্তী সময় পেশ করতে বলা হয়। এতে ডব্লিউটিও’র কাছে বাংলাদেশের প্রত্যাশার বাস্তবায়ন সম্পর্কিত রিপোর্ট অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়।
মন্ত্রিসভায় আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং সাপেক্ষ নৌবাহিনী (সংশোধনী) আইন-২০১৫ খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।