450
Published on জুন 7, 2015প্রধানমন্ত্রী আজ বঙ্গভবনে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীকে মুক্তিযুদ্ধের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে ভাষণকালে একথা বলেন।
বাজপেয়ীর পক্ষে এই সম্মাননা গ্রহণ করেন বাংলাদেশ সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতায় অনন্য অবদানের জন্য ভারতের শীর্ষস্থানীয় নেতা অটলবিহারী বাজপেয়ীকে এই সম্মাননা দেয়া হয়।
অটরবিহারী বাজপেয়ী বাংলাদেশের একজন প্রকৃত বন্ধু একথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তাঁকে মুক্তিযুদ্ধের সম্মাননা প্রদানের মাধ্যমে আমি সম্মানিত বোধ করছি।
বাজপেয়ীর উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে এ সম্মাননা হস্তান্তরে শেখ হাসিনা তাঁর আনন্দ ও সন্তোষের কথা প্রকাশ করে বলেন, ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দখলদার পাকিস্তানী বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষ ভারতকে পাশে পেয়েছিল। ওই সময় ভারত বাংলাদেশী শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,রাজনীতিবিদ হিসেবে শ্রী বাজপেয়ীর অকুণ্ঠ সমর্থন ভারতীয় রাজনীতিকদের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন। এতে বাংলাদেশের স্বাধীনতায় অটরবিহারী বাজপেয়ীর ভূমিকার উল্লেখ করে সম্মাননা পাঠ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম মোশাররাফ হোসেইন ভূইঞা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ শ্রী বাজপেয়ীর কাছ থেকে সব সময় সহমর্মিতা ও সহযোগিতা পেয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে তিনি এ স্বাক্ষর রেখেছেন।
তিনি বলেন, শ্রী বাজপেয়ী আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়ে এই সম্মাননা গ্রহণ করতে পারলে আমরা আরো খুশি হতাম। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি আসতে পারেননি।
‘আমি কখনো সাফল্য বা ব্যর্থতায় উদ্বিগ্ন নই। দায়িত্ব পালনের পথে সাফল্য ও ব্যর্থতা উভয়কে গ্রহণ করতে প্রস্তুত আমি। কেননা দুটিই সত্য’- বিশিষ্ট কবি অটলবিহারী বাজপেয়ীর এই বক্তব্যের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বাজপেয়ীর দীর্ঘ জীবন ও সুস্বাস্থ্য কামনা করেন।