ছয়-দফার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার অক্ষুণ্ন রাখতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর

404

Published on জুন 7, 2015
  • Details Image

তিনি বলেন, ‘আমরা রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি ক্ষুধা, দারিদ্র্য, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত আধুনিক ও অসাম্প্রদায়িক ডিজিটাল দেশ হিসেবে গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে ৭ জুনের শহিদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করব।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন। আগামীকাল ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস।

ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে আজ সকালে ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন তিনি।

পরে কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে নিয়ে দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ৭ জুন এক অবিস্মরণীয় দিন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ৬ দফা আন্দোলন ১৯৬৬ সালের ৭ জুন নতুন মাত্রা পায়।

তিনি বলেন, বাঙালির মুক্তিসনদ ৬ দফা আদায়ের লক্ষ্যে এদিন আওয়ামী লীগের ডাকে হরতাল চলাকালে নিরস্ত্র জনতার ওপর পুলিশ ও তৎকালীন ইপিআর গুলিবর্ষণ করে। এতে ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জে মনু মিয়া, সফিক ও শামসুল হকসহ ১১ জন শহীদ হন।

আজকের এই দিনে তিনি ঐতিহাসিক ৭ জুনসহ স্বাধীনতা সংগ্রামের সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, পাকিস্তানী শাসন-শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে সরকার বিরোধী সর্বদলীয় সভায় ঐতিহাসিক ৬ দফা প্রস্তাব পেশ করেন। ঢাকায় ফিরে তিনি ৬ দফার পক্ষে দেশব্যাপী ব্যাপক গণআন্দোলন গড়ে তোলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বৈরাচারী আইয়ুব সরকার বঙ্গবন্ধুকে এবছরই ৮ মে গ্রেফতার করে জেলে পাঠায়। বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ৬ দফা দেশের শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের মুক্তির সনদে পরিণত হয়ে উঠে।

TAGS:

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত