বঙ্গবন্ধুকে দক্ষিণ এশিয়ার শক্তি ও গণতন্ত্রের স্তম্ভ হিসেবে অভিহিত করেছেন নরেন্দ্র মোদি

414

Published on জুন 6, 2015
  • Details Image

ভারতের প্রধানমন্ত্রী তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেছেন, আমি বঙ্গবন্ধু জাতীয় জাদুঘর পরিদর্শন এবং দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে শক্তি ও গণতন্ত্রের স্তম্ভ ভারতের বন্ধু মহান নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।

মোদি বলেন, তিনি সাভারে জাতীয় স্মৃতি সৌধে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাত বরণকারীদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানাবেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি নিশ্চিত যে তার সফর উভয় দেশের জনগণ এবং দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের জন্য কল্যাণমূলক হবে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ফেসবুক পোস্টটি নিম্নরূপ :
৬ জুন আমি দু’দিনের সফরে বাংলাদেশ যাচ্ছি। এটি অত্যন্ত আনন্দ ও উৎসাহের বিষয় যে, আমি একটি দেশ সফর করতে যাচ্ছি যার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত দৃঢ়।

বাংলাদেশে আমি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিব। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক, যিনি দৃঢ় ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, প্রতিনিধিদল পর্যায়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত এবং কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। আমি বিভিন্ন গ্রান্ট-ইন-এইড প্রকল্পের ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে যোগ দিব।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রেলপথ, সংস্কৃতি ও সড়ক প্রকল্পগুলোর ফলক উন্মোচন করা হবে। অনুরূপভাবে নতুন চ্যাঞ্চারী ভবনে কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের ফলক উন্মোচন করা হবে।

আমি জাতীয় স্মৃতি সৌধে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবো। আমি বঙ্গবন্ধু জাতীয় জাদুঘর পরিদর্শন এবং দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের শক্তি ও গণতন্ত্রের স্তম্ভ মহান নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।

অটল বিহারী বাজপেয়ীর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধের সম্মাননা পদক গ্রহণ করা আমার জন্য খুবই আনন্দের বিষয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অটল বিহারী বাজপেয়ী বাংলাদেশের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক বজায় রাখার ওপর বিরাট গুরুত্ব দিয়েছেন এবং ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সফর করেছেন।

কয়েক সপ্তাহ আগে ভারতের পার্লামেন্টে বাংলাদেশের সঙ্গে ১৯৭৪ সালের স্থল সীমান্ত চুক্তি এবং সংশ্লিষ্ট ২০১১ সালের প্রটোকল পূর্ণ কার্যকর করার বিষয়ে একটি সংবিধান সংশোধন বিল সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়েছে।

আমাকে অবশ্যই এই সংশোধনী বিল পাস করার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলো এবং বিভিন্ন রাজ্যের সি এম দের সমর্থনের বিষয়টি উল্লেখ করতে হবে। এই অনুমোদন বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ মুহূর্তের সূচক।

এছাড়া, জনগণের সঙ্গে জনগণের ব্যাপক সম্পর্ক ও যোগাযোগ জোরদারের লক্ষ্যে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর সঙ্গে কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা এবং ঢাকা-শিলং-গৌহাটি রুটে বাস সার্ভিসের সূচনা করবো।

আমি ঢাকায় রামকৃষ্ণ মিশনে যাব। ১৮৯৯ সালে বেলুর মঠের ভক্তরা এটি প্রতিষ্ঠা করেছেন। আমি ঢাকায় বিখ্যাত ঢাকেশ্বরী মন্দিরও পরিদর্শন করবো।

আমি নিশ্চিত যে, আমার সফর আমাদের উভয় দেশের জনগণের জন্য এবং দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বৃহত্তর স্বার্থে কল্যাণকর হবে।

TAGS:

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত