373
Published on মে 24, 2015আজ সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী এবং চীনের সফররত উপ-প্রধানমন্ত্রী লিও ইয়ানডং-এর মধ্যে আলোচনাকালে তিনি এ সহায়তার অনুরোধ জানান।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এ কে এম শামীম চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, দু’দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে শেখ হাসিনা জনগণের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি চীনের কমিউনিস্ট পার্টি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।
শেখ হাসিনা চীনের প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টকে তাঁদের সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে প্রস্তাবিত চায়না ইকোনমিক এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোনের (সিইআইজেড) জন্য চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ৭৭৪ একর জমির বরাদ্দ করেছে। একই এলাকায় চীনের একটি বেসরকারি কোম্পানীর ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠার জন্য আরো ৫০৪ একর জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার দেশ কৃষি খাতে যৌথ গবেষণা এবং প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশ থেকে তরুণ বিজ্ঞানীদের আমন্ত্রণ জানানোসহ বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাগার স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছে।
লিও ইয়ানডং বলেন, ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশাবাদী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ লক্ষ্য অর্জনে চীন সকল প্রকার সহযোগিতা ও সমর্থন দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, ১৯৫২ এবং ১৯৫৭ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চীনের সফরের মধ্যদিয়ে দু’দেশের সম্পর্কের ভিত্তি রচিত হয়।
চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী লিও ইয়ানডং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির প্রশংসা করে ভবিষ্যতেও এ প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও চীন এ বছর কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৪০তম বার্ষিকী উদযাপন করবে। এর মধ্যদিয়ে দু’দেশের সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে।
চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার দেশ বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি দেয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে। চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সুবিধাজনক সময়ে তার দেশ সফরে সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ পৌঁছে দেন।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভি, চীনের শিক্ষামন্ত্রী ইউয়ান গুইরেন, উপ-মন্ত্রী টং গেং, বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত মা মিংকিয়াং, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ এবং পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক উপস্থিত ছিলেন।