604
Published on মে 18, 2015এ বিষয়ে সম্ভাব্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরের লক্ষ্যে চারদেশের সড়ক পরিবহন মন্ত্রীরা আগামী জুনে ভূটানের রাজধানী থিম্পুতে মিলিত হবেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ বুধবার সকালে নয়াদিল্লীর পরিবহন ভবনে সফররত বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সড়ক পরিবহন, মহাসড়ক ও নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শ্রী নিতিন গাদকারি’র মধ্যে এক দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান সড়ক নেটওয়ার্ক আরও জোরদার করণে দু’দেশের মধ্যে প্রস্তাবিত বিবিধ চুক্তি ও প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।
দ্বি-পাক্ষিক এ বৈঠকে ঢাকা-শিলং-গৌহাটি রুটে আগামী ২২ মে পরীক্ষামূলক বাস চলাচল শুরুর বিষয়ে আলোচনা হয়। এ লক্ষ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য দ্রুত কার্যক্রম এগিয়ে নিতে উভয় পক্ষ সম্মত হয়।
ভারতের সম্ভাব্য ২য় ঋণ সহায়তা ‘এলওসি’র আওতায় বিআরটিসি’র জন্য ৫শ’ ট্রাক, ৩শ’ ডাবল ডেকার বাস, ১শ’ আর্টিকুলেটেড বাস এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহের বিষয়ে বাংলাদেশের প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়।
এছাড়া বৈঠকে ভারতের সহায়তায় রামগড়-সাবরুম পয়েন্টে ফেনী নদীর উপর সেতু নির্মাণ, কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা বাস সার্ভিস চালু, আশুগঞ্জ-আখাউড়া সড়ক চারলেনে উন্নীতকরণসহ অন্যান্য বিষয়া নিয়ে আলোচনা হয়।
এসময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। তিনি দীর্ঘ প্রত্যাশার স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নে সংবিধান সংশোধন বিল ভারতের রাজ্যসভা ও লোকসভায় সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হওয়ায় নরেন্দ্র মোদি’র নেতৃত্বাধীন সরকার, বিরোধী দলসহ সকল রাজনৈতিক দল ও ভারতীয় জনগণকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও জনগণের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান।
মন্ত্রী বলেন, আমরা দু’দেশের মধ্যে সন্দেহ ও অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে সৌহার্দ্যরে সেতুবন্ধ রচনা করতে চাই।
বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ভারত সরকারের সড়ক পরিবহনমন্ত্রী দু’দেশের মধ্যে সড়ক নেটওয়ার্ক জোরদার করার মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী’র নেতৃত্বে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি সাত সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। প্রতিনিধিদলে ছিলেন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এম. ফিরোজ ইকবাল, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্মসচিব চন্দন কুমার দে, সওজ’র নির্বাহী প্রকৌশলী শিশির কান্তি রাউথ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো. আবু নাছের।
এসময় নয়াদিল্লীস্থ বাংলাদেশ হাই-কমিশনের ডেপুটি হাই-কমিশনার সালাহ উদ্দিন নোমান চৌধুরী, হাই-কমিশনের প্রথম সচিব শেখ শাহরিয়ার মোশাররফ প্রতিনিধিদলে ছিলেন।