রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রীসভা

475

Published on মে 11, 2015
  • Details Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বাংলাদেশ সচিবালয়ে সোমবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম মোশাররফ হোসাইন ভুইঞা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৮ মে নোবেল বিজয়ী কবি রবীন্দ্রনাথ অন্যতম স্মৃতি বিজড়িত সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার বাস্তবায়নে শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবিত আইনের একটি খসড়া অনুমোদন চেয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে পেশ করেন। বৈঠকে আইনের খসড়াটি নীতিগতভাবে অনুমোদন দেয়া হয়। খসড়াটি এখন ভেটিং এর জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। ভেটিং’এর পর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পুনরায় মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে।

এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য পার্লামেন্টে আইনটি পাস করাতে হবে।

ভুইঞা আরো বলেন, শাহজাদপুর ছাড়াও রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজড়িত স্থান হিসেবে কুষ্টিয়ার শিলাইদহ এবং নওগাঁর পতিসরের মতো কয়েকটি স্থান রয়েছে। এ সকল স্থানে তার পরিবারের জমিদারি ছিল।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য তুলে ধরে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধুমাত্র কবিগুরুর ভাষা ও সাহিত্য চর্চা হবে না, এখানে কলা, সঙ্গীত, নৃত্য, চারুকলা, সমাজ বিজ্ঞান, কৃষি, সমবায়, আইন, ব্যবসা প্রশাসন, বিজ্ঞান ও প্রকৌশলী প্রযুক্তি ফ্যাকাল্টি থাকবে এবং রবীন্দ্রনাথের দর্শন ও বিশ্ব সংস্কৃতি চর্চা হবে।

ভুইঞা বলেন, শিল্প, সঙ্গীত, নৃত্য এবং চারুকলার ওপর গুরুত্ব দেয়া হবে। তবে রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিশীলতা ও দর্শনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হবে।

ভুইঞা আরো বলেন, আইনে অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বৈধ কাঠামো থাকবে।

তিনি বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বিধিবদ্ধ আইন হিসেবে মন্ত্রিসভা আজ আইনের খসড়াটি নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছে।

মন্ত্রিসভা বৈদেশিক মুদ্রা এবং সিকিউরিটিজ ক্রয় ও বিক্রয়ে বর্তমান আইন হালনাগাদ করতে ‘ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন (সংশোধনী) আইন ২০১৫’-এর খসড়া অনুমোদন করেছে।

এর আগে গত ১২ জানুয়ারি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ব্যাংকিং এন্ড ফিনান্স বিভাগ যে কোন স্থানীয় অথবা বিদেশী নাগরিককে তাদের বৈদেশিক মুদ্রা অথবা সিকিউরিটিস এবং বিদেশে তাদের স্থাবর অথবা অস্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কে তথ্য দিতে নির্দেশ প্রদানে সরকারকে ক্ষমতা প্রদানের লক্ষ্যে আইনের খসড়াটি পেশ করা হয়। এই দিনে মন্ত্রিসভা কতিপয় পর্যবেক্ষণ দিয়ে আইনের খসড়ায় নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছিল।

ব্যাংকিং এবং ফিনান্সিং বিভাগ খসড়া আইনটি পর্যবেক্ষণসহ চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আজ মন্ত্রিসভায় পেশ করে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব ভুইঞা বলেন, মন্ত্রিসভা আজ খসড়া আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে এবং এটি এখন পার্লামেন্টে পাঠানো হবে। তিনি বলেন, আইনের সংশোধনীতে আইনের প্রয়োগ সম্পর্কে পরিষ্কার বর্ণনা দেয়া আছে। তিনি আরো বলেন, আইনটি দেশের সকল নাগরিক এবং বাংলাদেশে বাসবাসকারী সকল বিদেশী নাগরিকের জন্য প্রযোজ্য হবে।

ভুইঞা আরো বলেন, আইনে ফিনান্সিয়াল টার্ম হিসেবে কিছু নতুন সংজ্ঞা হালনাগাদ করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নতুন আইনে বিনিয়োগ বান্ধব হিসেবে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী আনা হয়েছে। বর্তমান আইনে কোন বিদেশী এবং বহুজাতিক কোম্পানিকে বাংলাদেশে কোন অফিস স্থাপনের জন্য বিনিয়োগ বোর্ড (বিওআই) এবং বাংলাদেশ ব্যাংক উভয়ের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। প্রস্তাবিত আইনে শুধুমাত্র বিওআই থেকে অনুমতি নিতে হবে এবং অনুমতি পাবার পর এ বিষয়টি এক মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানাতে হবে।

ভুইঞা আরো বলেন, পাশাপাশি বাংলাদেশী নাগরিক ও বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশী নাগরিকদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের মতো কিছু ক্ষমতা দিয়েছে।

বৈঠকে গত ২৩ থেকে ২৫ মার্চ ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় অনুষ্ঠিত পার্লামেন্টে নারী শীর্ষক বার্ষিক সম্মেলন-২০১৫ তে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের যোগদান সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

এ ছাড়া গত ১৩ থেকে ১৪ মার্চ ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠিত দশম উত্তর-পূর্ব বাণিজ্য শীর্ষ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রীর অংশগ্রহণ সম্পর্কে অবহিত করা হয় মন্ত্রিসভা বৈঠকে।

সভায় মন্ত্রিবর্গ, সংশ্লিষ্ট প্রতিমন্ত্রীগণ যোগ দেন। সংশ্লিষ্ট সচিবগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

ছবিঃ সাইফুল ইসলাম কল্লোল

TAGS:

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত