হস্তশিল্পের বিকাশ সাধনের লক্ষ্যে 'হস্ত ও কারুশিল্প নীতিমালা-২০১৫' এর অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা

1351

Published on এপ্রিল 14, 2015
  • Details Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম মোশাররফ হোসাইন ভূঞা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, শিল্পনীতি-২০১০ এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে হস্তশিল্প নীতি-২০১৫ প্রণয়ন করা হয়েছে। সরকার এই বিষয়টিকে খুবই গুরুত্ব দিয়েছে। সমাজে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের লক্ষ্যগুলোর মধ্যে এটি একটি। হস্তশিল্প নীতি এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

এম মোশাররফ হোসাইন ভূঞা আরো বলেন, এই নীতি প্রণয়নের আরো একটি উদ্দেশ্য হলো হস্তশিল্পের বিকাশ ও সংরক্ষণের মাধ্যমে দেশের চিরাচরিত সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করা।

তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা এবং এর অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব বিবেচনা করে এই নীতিটি প্রণয়ন করা হয়।

ভূঞা আরো বলেন, এই নীতিতে হস্তশিল্পের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন ও মৌলিক কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি, আর্থিক সহায়তা প্রদান এবং উদ্যোক্তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণে সহায়তা ও হস্তশিল্পজাত পণ্য রফতানি বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে নীতিতে।

তিনি আরো বলেন, নীতি কার্যকর ও বাস্তবায়নের জন্য শিল্পমন্ত্রীর নেতৃত্বে ‘হস্তশিল্প নীতি সমন্বয় কাউন্সিল’ নামে একটি কাউন্সিল গঠিত হবে।

সমন্বয় কাউন্সিলকে সহায়তা প্রদানের জন্য বিএসসিআইসি’র চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি হস্তশিল্প নীতি বাস্তবায়ন কাউন্সিলও গঠিত হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নীতিতে ১৯ ক্যাটাগরির হস্তশিল্পের একটি তালিকা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সরকার এ সকল হস্তশিল্পে উদ্যোক্তাদের সব ধরনের সহায়তা দেবে।

তিনি বলেন, এই নীতি দেশে হস্তশিল্প বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে মন্ত্রিসভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের ওপর প্রথম ত্রৈমাসিক (জানুয়ারি-মার্চ) রিপোর্ট-২০১৫ পেশ করা হয়।

সভায় এ বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ে নেয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়।

ভূঞা জানান, চলতি বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে মন্ত্রিসভার ১৩টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সকল বৈঠকে ৬৬টি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ইতোমধ্যেই ৩৩টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ২৯ চৈত্র এবং দ্বিতীয় বৈশাখ দু’দিন ঐচ্ছিক ছুটি অনুমোদন করেছে।
ভূঞা বলেন, এখন থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষ ২৯ চৈত্র ও দ্বিতীয় বৈশাখ ছুটি ভোগ করতে পারবে।

মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবর্গ, সংশ্লিষ্ট প্রতিমন্ত্রীগণ ও সংশ্লিষ্ট সচিবগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

ছবিঃ সাইফুল ইসলাম কল্লোল

TAGS:

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত