502
Published on এপ্রিল 11, 2015প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে জাপান আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু এবং সবচেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদার। ফলে আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জনের লক্ষ্য পূরণে আমরা জাপানের আরো বেশি আর্থিক সহায়তা ও বিনিয়োগ কামনা করছি। প্রধানমন্ত্রী এ ক্ষেত্রে জাপানের বিনিয়োগকারীদেরকে তাঁর সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের দু’টি বিশেষ ইকোনোমিক জোনে (এসইজেডএস) জাপানের বিনিয়োগকারীদের জন্য প্লট বরাদ্দ করা হয়েছে। তারা এ সকল বিশেষ ইকনোমিক জোনে বরাদ্দ করতে পারেন।
জাপানের রাষ্ট্রদূত শিরো শাদোশিমা গতকাল সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবনে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নে জাপানের দ্ব্যর্থহীন সমর্থন প্রদানের জন্য সে দেশের সরকার এবং জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরে অভূতপূর্ব সাফল্যে জাপানের ব্যাপক অবদান রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ঢাকা-টোকিও সম্পর্ক এক নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে এবং বাংলাদেশ তার দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে জাপানের সকল ধরনের সহযোগিতা ও আর্থিক সহায়তা পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে গত চার বছরে তার দায়িত্ব পালনকালে তার সক্রিয় ভূমিকার জন্য দু’ দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হয়েছে।
বৈঠকে জাপানের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে বলেন, তিনি খুব কাছে থেকে তার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দেখার সুযোগ পেয়েছেন এবং প্রকৃতপক্ষে তিনি অভিভূত হয়েছেন।
জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত বলেন, শেখ হাসিনা তাঁর বুদ্ধিমত্তা দিয়ে অনেকগুলো সমস্যার সমাধান করেছেন এবং বাংলাদেশ তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে অনেক অগ্রসর হয়েছে। পাশাপাশি তার সময়ে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হয়েছে।
জাপানের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ তার অভিষ্ঠ লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবে বলে দৃঢ় আশা প্রকাশ করেন।
জাপানের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের চাহিদা সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত বলেন, পারস্পরিক স্বার্থে বাংলাদেশ তার বাজার সম্প্রসারণ করতে পারে।
জাপানের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে তার দেশের বিনিয়োগ সম্পর্কে আলাপকালে বলেন, জাপানের ব্যবসায়ীরা খুবই সন্তুষ্ঠু। বাংলাদেশে ব্যবসা করতে তার সরকারের কাছ থেকে সব ধরনের সহায়তা পাচ্ছে।
ঢাকায় তার দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণের আতিথীয়তা ও সহযোগিতার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত বলেন, তিনি বাংলাদেশের মানুষের আতিথীয়তায় খুবই মুগ্ধ। আতিথীয়তার জন্য বাংলাদেশ সব সময় তার হৃদয়ে থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, মুখ্য সচিব মো. আবুল কামাল আজাদ এবং প্রেস সেক্রেটারী একেএম শামীম চৌধুরী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ছবিঃ ফোকাস বাংলা