970
Published on এপ্রিল 11, 2015তিনি বলেন, ‘এই ফ্লাইওভার উদ্বোধনের মাধ্যমে ঢাকা, গাজীপুর এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি বিপ্লব সূচিত হলো।’
প্রধানমন্ত্রী ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মাওনা চৌরাস্তায় অবস্থিত বহুল প্রতিক্ষিত এ ফ্লাইওভার উদ্বোধনের পর গতকাল বিকেলে শ্রীপুরের পিয়ার আলী ডিগ্রি কলেজ ময়দানে আয়োজিত জনসভায় ভাষণদানকালে এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চার লেনে উন্নীত করণের কাজ প্রায় শেষের পথে। তিনি বলেন, ‘নির্মাণ কাজের ৮০ শতাংশ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে এবং আগামী জুনের মধ্যে বাকি কাজ শেষ হবে।’
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উন্নয়ন কাজের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আঞ্চলিক বিভিন্ন জেলার মধ্যে যোগাযোগ আরো সহজ করা হবে এবং ব্যবসা ও বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর সুফল পাওয়া যাবে।
যোগাযোগ ক্ষেত্রে সরকারের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতা গ্রহণ করে সারা বাংলাদেশে বহু সংখ্যক সেতু ও ফ্লাইওভার নির্মাণ করেছে।
যার মধ্যে রয়েছে- কেরানীগঞ্জে শহীদ বুদ্ধিজীবী সেতু, টংগীতে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার ফ্লাইওভার, শীতলক্ষা নদীর উপর সুলতানা কামাল সেতু, কর্ণফুলী নদীর উপর হযরত শাহ আমানত সেতু, কীর্তন খেলা নদীর উপর শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতু, চট্টগ্রামে বন্দর সংযোগ ফ্লাইওভার, রুমা সেতু ও সাঙ্গু নদীর উপর থানচি সেতু, তিস্তা নদীর উপর তিস্তা সেতু, রংপুরে করতোয়া নদীর উপর ওয়াজেদ মিয়া সেতু এবং সিরাজগঞ্জে করতোয়া নদীর উপর সোনাতলা সেতু।
তিনি বলেন, এছাড়াও ফ্লাইওভার ও আন্ডার পাস নির্মাণের কারণে ঢাকা শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হয়েছে। এসব স্থাপনার মধ্যে রয়েছে-মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার, বনানী রেলওয়ে ওভারপাস, কুড়িল ফ্লাইওভার এবং মিরপুর-এয়ারপোর্ট সড়কে জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভার।
শেখ হাসিনা বলেন গোপালগঞ্জে শেখ লুৎফর রহমান সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এ ছাড়া আন্ধারমানিক নদীর উপর শেখ কামাল সেতু, ভোলেশ্বর নদীর উপর শেখ ফজলুল হক মনি সেতু, ভাঙ্গা নদীর উপর শেখ রাসেল সেতু, সুরমা নদীর উপর কাজির বাজার সেতু, পায়রা নদীর উপর পায়রা সেতু, মাদারীপুর-চাঁদপুর সড়কে আড়িয়াল খাঁ নদীর উপর আসমত আলী খান সেতু, দ্বিতীয় মেঘনা সেতু, দ্বিতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু ও দ্বিতীয় গোমতী সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে।