476
Published on মার্চ 31, 2015পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি) ১ হাজার ৪০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৮ সালের জুন নাগাদ বিদ্যমান গ্রীড আন্তঃসংযোগ সম্প্রসারণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
প্রকল্পের অধীনে ১২ কিলোমিটার দীঘ বেড়ামারা-ঈশ্বরদী ২৩০ কেভি ডাবল সার্কিট ট্রান্সমিশন লাইন (রিভার ক্রসিং ও ভেড়ামারা ৫০০ মেগাওয়াট এইচভিডিসি ব্যাক-টু-ব্যাক সাব- স্টেশনসহ) নির্মাণ করা হবে।
একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে শেরেবাংলানগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে আজ এ অনুমোদন করা হয়।
অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান চলতি অর্থবছরের ২৪তম একনেক বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।
তিনি বলেন, ভেড়ামারা-বহরমপুর গ্রীড সংযোগ প্রকল্পসহ মোট ৬টি প্রকল্প বৈঠকে অনুমোদন দেয়া হয়। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকা।
এম এ মান্নান জানান, এতে সরকারি অর্থায়ন ৪০ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা, সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে দেবে ১১৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য হিসেবে অর্থায়ন হবে ১২ হাজার ১৭৮ কোটি টাকা।
তিনি জানান, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ভেড়ামারা-বহরমপুর গ্রীড সংযোগ সম্প্রসারণ প্রকল্পে ৮৪৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা সরবরাহ করবে।
এককেনের এ সভায় অপর প্রকল্প ত্রিপুরা (ভারত)-কুমিল্লা দক্ষিণ সাব-স্টেশন (বাংলাদেশ) গ্রীড আন্তঃসংযোগ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
পিজিসিবি ২০১৬ সালের জুন নাগাদ এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ত্রিপুরা পলাতনা বিদ্যুৎ কেন্দ্র কুমিল্লা দক্ষিণ বিদ্যুৎ সাব-স্টেশনে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে।
ত্রিপুরা (ভারত)-কুমিল্লা পাওয়ার সাব-স্টেশন ৪৩ কিলোমিটার সরবরাহ লাইন নির্মাণ করা হবে এবং এ প্রকল্পের আওতায় কুমিল্লা দক্ষিণ সাব-স্টেশনে দুটি ১৩২ কেভি বে সম্প্রসারণ করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এর ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহ সক্ষমতা আরো বৃদ্ধি পাবে।
একনেকে অনুমোদিত অপর প্রকল্পগুলো হলো- স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি খাত উন্নয়ন কার্যক্রম (এইচপিএনএসডিপি) সংশোধিত প্রকল্প। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫১ হাজার ৮২ কোটি টাকা।
৪০ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে বিসিক শিল্পনগরী, শ্রীমঙ্গল (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প, ৩৫ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে রৌমারী-তুরা স্থলবন্দর সড়ক নির্মাণ প্রকল্প, ৩৬ কোটি ২৪ লাখ টাকায় বাংলাদেশের নির্ধারিত এলাকায় কুচিয়া ও কাঁকড়া চাষ এবং গবেষণা প্রকল্প।
মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীবৃন্ধ, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট সচিবগণ বৈঠকে যোগ দেন।