441
Published on মার্চ 29, 2015আর ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া স্টিফেন্স ব্লুম বার্নিকাট বলেছেন, চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছিল, তা ধীরে ধীরে কেটে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মার্কিন কর্মকর্তারা। নিশা দেশাই বিসওয়াল বলেন, 'বিচক্ষণতাপূর্ণ নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশের সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলতে অন্যের ওপর নির্ভরতার প্রয়োজন পড়বে না। আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অনেক গভীর ও বিস্তৃত।'
ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই মার্কিন কূটনীতিক সম্পর্কের বিস্তৃতি বোঝাতে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ সফরে এসে প্রয়াত সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বটগাছের চারা লাগানোর প্রসঙ্গ টানেন। ১৯৭১ সালের ২ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে বটতলায় প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ওই বটগাছ গুঁড়িয়ে দেয় পাকিস্তান সেনাবাহিনী। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে এসে ঐতিহাসিক ওই স্থানেই একটি বটগাছের চারা লাগান কেনেডি, মুক্তিযুদ্ধকালে মার্কিন নীতির তুমুল বিরোধিতা করে বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন যিনি। তাঁর লাগানো চারা গাছটিই এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে দাঁড়িয়ে আছে বাঙালির মুক্তির আন্দোলনের অন্যতম প্রতীক হিসেবে।
নিশা দেশাই বলেন, '৪৪ বছরে ওই চারা গাছটি এখন পরিপূর্ণ একটি বৃক্ষে পরিণত হয়েছে। ডালপালা বিস্তৃত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিকড়ও অনেক গভীরে প্রোথিত হয়েছে। সেই বৃক্ষটি এখন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যকার গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের জীবন্ত উদাহরণে পরিণত হয়েছে।' সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিশা দেশাই বলেন, 'বাংলাদেশ এখন অনেক এগিয়েছে এবং নিজেদের মেধা ও যোগ্যতার বলেই তারা এগিয়ে চলেছে। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশকে আরো এগিয়ে যেতে আমরা বাংলাদেশের মানুষের পাশে ছিলাম এবং সব সময় থাকব।'
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র শক্তিশালী মিত্র হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান নিশা।
(বিডিনিউজ২৪)