2311
Published on মার্চ 23, 2015সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে গ্রামীণ পর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা মা এবং শূন্য থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের চিকিৎসার সাথে নগদ অর্থ প্রদান কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দুটি মন্ত্রণালয়ের মধ্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
এ প্রকল্পের অধীনে গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, জামালপুর, ময়মনসিংহ ও শেরপুর জেলার ৪২টি উপজেলার ৪৪৩টি ইউনিয়ন পরিষদে দরিদ্র মা ও শিশুরা এই অর্থ সহায়তা পাবেন। আগামী পাঁচ বছরের জন্য গৃহীত এই প্রকল্পের কার্যক্রম আগামী ১ এপ্রিল থেকে চলবে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত।
এ প্রকল্পের আওতায় ছয় লাখ মা অর্থ সহায়তা পাবেন। তাঁদের খুঁজে বের করা হবে বাংলাদেশ পোভার্টি ডাটাবেজ অনুসরণ করে।
অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের ৪ বার স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রেক্ষিতে প্রতিবার ২০০ টাকা, শূন্য থেকে চব্বিশ মাস বয়সী শিশুদের প্রতি মাসে বৃদ্ধি পরীক্ষার প্রেক্ষিতে প্রতিবার ৫০০ টাকা, ২৫-৬০ মাস বয়সী শিশুদের প্রতি ৩ মাস অন্তর বৃদ্ধি পরীক্ষার প্রেক্ষিতে প্রতিবার ১০০০ টাকা, অন্তঃসত্ত্বা মহিলা ও মায়েদের জন্য প্রতিমাসে শিশু পুষ্টি ও উন্নত শিক্ষা সংক্রান্ত কর্মশালায় অংশগ্রহণ সাপেক্ষে প্রতিবার ৫০০ টাকা হারে অর্থ প্রদান করা হবে।
এ জন্য মায়েরা একটি পোষ্টাল ক্যাশ কার্ড ব্যবহার করে অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন, কোনো মাধ্যমের প্রয়োজন হবে না। এ জন্য ডাকঘর অধিদপ্তরের সাথে পরবর্তীতে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
সরকার এবং বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ২ হাজার ৩৭৭ কোটি ৮০ লাখ টাকার প্রাক্কলিত ব্যয়ের ‘ইনকাম সাপোর্ট ফর দ্য পুওরেস্ট’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার বিভাগ। বিশ্ব ব্যাংক দিবে ২ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল মালেক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ দীন মোঃ নূরুল হক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নূর হোসেন তালুকদার, স্থানীয় সরকার বিভাগের এম ই ই শাখার মহাপরিচালক জুয়েনা আজিম সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক এমন একটা উদ্ভাবনী শক্তি যার মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোর গোড়ায় পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়েছে। দরিদ্র মানুষ সেখানে স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছে। এটা বাংলাদেশের জন্য একটা বিরাট অর্জন। এই অর্জনকে সবার সামনে তুলে ধরতে হবে।
তিনি বলেন, সমগ্র বিশ্ববাসী বাংলাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার প্রক্রিয়ার প্রশংসা করেছে। কমিউনিটি ক্লিনিক তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা দিচ্ছে।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্প অন্তঃসত্ত্বা নারী ও শিশুর স্বাস্থ্যের উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।