415
Published on মার্চ 15, 2015তিনি বলেন, এই ভাষণ জাতিকে সবসময়ে নতুন করে শক্তি যুগিয়ে আসছে এবং বিশ্বের সকল স্বাধীনতাকামী মানুষকে অনুপ্রেরণা দিয়ে আসছে। আমরা যখন এই ভাষণ শুনি তখন এর প্রতিটি শব্দ ও ভাষা আমাদেরকে জাতীয় স্বার্থে নিজেদেরকে উৎসর্গ করার প্রেরণা যোগায়।
প্রধানমন্ত্রী আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ : কেন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাষণের একটি’ শীর্ষক এক সেমিনারে ভাষণে এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দীর্ঘ একুশ বছর এই ভাষণ নিষিদ্ধ ছিল। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি এখনও সক্রিয় রয়েছে। তারা এই ভাষণকে ভয় পায়। কারণ এতে জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির কথা বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী প্রজন্ম স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই ভাষণ থেকে প্রেরণা পাবে। অতীতে কেউ বাঙালিকে দাবিয়ে রাখতে পারেনি এবং ভবিষ্যতেও পারবে না।
বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট আয়োজিত এই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ। আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেজবাহ কামাল এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. এম শাহিনুর রহমান। এছাড়া সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান এবং সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপনও সেমিনারে বক্তব্য রাখেন। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য সচিব শেখ হাফিজুর রহমান এবং ধন্যবাদ জানান সংস্থার প্রধান নির্বাহী মাশুরা হোসেন।
সেমিনারের শুরুতে দর্শকদের পিনপতন নীরবতার মধ্যে ১৯৭১ সালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেয়া বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ শোনানো হয়।
এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ এবং তাঁর জীবন ও কর্মের ওপর বাংলা একাডেমী ও বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট প্রকাশিত দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
বাংলা একাডেমী প্রকাশিত বইটির নাম হচ্ছে- ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ : বহুমাত্রিক বিশ্লেষণ’ এবং বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট প্রকাশিত বইটির নাম হচ্ছে- ‘পয়েট অব পলিটিকস’।
বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের চেয়ারপার্সন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনে সম্মিলিতভাবে কাজ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে এর ওপরই গুরুত্বারোপ করেছিলেন।
ছবিঃ ইয়াসিন কবির জয়