448
Published on মার্চ 9, 2015প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা কক্ষে মন্ত্রিসভার সপ্তাহিক বৈঠকের আগে এ চুক্তি সম্পাদিত হয়। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং মন্ত্রণালয়ের সচিবগণ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ চুক্তির আওতায় আর্থিক বছরের শুরুতে মন্ত্রণালয়গুলো সরকারের উন্নয়ন অগ্রাধিকার, দীর্ঘমেয়াদী প্রেক্ষিত পরিকল্পনা, পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং বাজেট বরাদ্দের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ভিশন-মিশন ও কৌশলগত লক্ষ্য নির্ধারণ করবে।
মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম মোশাররফ হোসেইন ভূঁইয়া ব্রিফকালে সাংবাদিকদের বলেন, এ পর্যন্ত ৪৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।
এর ভিত্তিতে সরকার মন্ত্রণালয়গুলোর উন্নয়ন প্রকল্প, কার্যক্রম ও কর্মকা-ের বাস্তবায়ন মনিটর করবে এবং পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নে প্রয়োজনে নির্দেশনা দেবে।
প্রথম পর্যায়ে চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুত্তিতে স্বাক্ষর করে । পরে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ এর আওতায় আসে।
মন্ত্রিসভায় আজ বিদ্যমান অধ্যাদেশ সময়োপযোগী করতে যুব কল্যাণ তহবিল আইন ২০১৫-এর খসড়া অনুমোদিত হয়েছে। এতে নিবন্ধিত যুব সংগঠনগুলোর সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় আর্থিক সহায়তা দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। নতুন এই আইনটি হচ্ছে ১৯৮৫ সালে এইচ এম এরশাদের সামরিক শাসনামলে জারিকৃত অধ্যাদেশের সংশোধিত সংস্করণ।
উচ্চ আদালতের ২০১০ সালের এক রায়ে সামরিক শাসনকে অবৈধ এবং ওই সময়ের সব আইন ও অধ্যাদেশ বাতিল ঘোষণা করা হয়। আদালতের এই আদেশের অনুসরণে মন্ত্রিসভা প্রয়োজনীয় আইনগুলো পর্যালোচনা ও তা বাংলায় রূপান্তরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
সচিব বলেন, এই আইনের আওতায় শিক্ষা, বিজ্ঞান, তথ্য প্রযুক্তি, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, শিল্প ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে কর্মকা- পরিচালনার জন্য যুব সংগঠনগুলোকে সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেয়ার বিধান রয়েছে।
দ্বি-স্তর ব্যবস্থাপনায় এই তহবিল পরিচালিত হবে। যুব মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্বে একটি সিলেকশন কমিটি প্রকৃত সংগঠন নির্বাচন করবে এবং একই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর নেতৃত্বে ব্যবস্থাপনা বোর্ড-এ চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে।
বৈঠকে চলতি বছরের ১৮ থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সৌদে আরব সফর সম্পর্কে অবহিত করা হয়।
২০১৪ সালের নভেম্বরে ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত ‘কনফারেন্স অব দ্য পার্টিজ টু দ্য ভিয়েনা কনভেনশন ফর দ্য প্রোটেকশন অব দ্য ওজোন লেয়ার-এর দশম সভা (কপ-১০) এবং পার্টিজ টু দ্য মন্ট্রিল প্রোটোকল অন সাবটেন্সেস দ্যাট ডিপিলেট দ্য ওজোন লেয়ার-এর ২৬তম সভাসমূহে (এমওপি-২৬) পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের অংশগ্রহণ সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়।
ছবিঃ সাইফুল ইসলাম কল্লোল