433
Published on মার্চ 4, 2015প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট কাউন্সিলের বৈঠকে স্থানীয় লোকদের ট্যুরিজমের ব্যাপারে উৎসাহিত করতে এবং দেশের ট্যুরিজম সম্ভাবনা কাজে লাগাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
কাউন্সিলের চেয়ারপার্সন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এ কে এম শামীম চৌধুরী বলেন, দেশের পর্যটন শিল্পের প্রসার ও উন্নয়ন জোরদারে ২০১৬ সাল বাংলাদেশে ‘ভিজিট বাংলাদেশ ইয়ার ২০১৬’ হিসেবে পালিত হবে। সরকার এ ক্ষেত্রে আগামী তিন বছরের জন্য প্রায় ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।
বৈঠকে অবহিত করা হয়, গ্রামীণ সৌন্দর্য অক্ষুণ্ণ রেখে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি ক্ষেত্র সংলগ্ন এলাকায় একটি আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট গড়ে তুলতে একটি মাস্টার প্লান তৈরি করা হচ্ছে।
বৈঠকে ভারতের চেন্নাই থেকে আন্দামান, মায়ানমার, থাইল্যান্ড ও মালদ্বীপ এবং সর্বশেষে সিঙ্গাপুর পর্যন্ত ইন্টারন্যাশনাল রিভার ক্রুইজের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগদানের ব্যাপারে আলোচনা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, বাংলাদেশের পর্যটনখাত বিদেশীদের জন্য আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে অন-এরাইভাল ভিসা সহজীকরণ, দীর্ঘমেয়াদী মাল্টিপল ভিসা চালু এবং ই-ভিসা বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি বিদ্যমান ট্যুরিস্ট এলাকায়, প্রতœতাত্ত্বিক ও ধর্মীয় স্থাপনায় ট্যুরিজম পরিকল্পনা নেয়া হয়, তাহলে বিদেশীদের জন্য বাংলাদেশ আকর্ষণীয় পর্যটন স্পটে পরিণত হবে। সমুদ্র সৈকত আমাদের একমাত্র পর্যটন স্পট নয়, আমাদের নদী, পাহাড়, প্রাচীন ঐতিহ্য, প্রতœনিদর্শন, চা-বাগান, পার্বত্য চট্টগ্রামের দৃষ্টিনন্দন এলাকাও আমাদের আকর্ষণীয় ট্যুরিস্ট সাইট।
দেশের লোকদের মধ্যে পর্যটনের ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অভ্যন্তরীণ ট্যুরিজম অবশ্যই জোরদার হতে হবে অন্যথায় বিদেশী পর্যটন আকর্ষণ করা যাবে না।
প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারকে বিদেশী পর্যটকদের জন্য একটি পরিকল্পিত শহর হিসেবে গড়ে তুলতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, কুয়াকাটায় মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ করা হবে। এ স্থান থেকে পর্যটকরা সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের বিরল সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।
নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে ট্যুরিস্ট প্যাকেজ কার্যক্রম গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের প্যাকেজ হিমালয়ের দেশটির পর্যটকদের বাংলাদেশ সফর করে সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য সহায়ক হবে। বাংলাদেশ সমুদ্রে যাত্রীবাহী জাহাজ চলাচলে মালদ্বীপ, শ্রীলংকা ও ভারতের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনকে ইকো-ট্যুরিজমের আওতায় নিয়ে আসার প্রক্রিয়া জোরদারে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, স্থানীয় ও বিদেশী পর্যটকদের সামনে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনকে আরো আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করতে হবে।
ছবিঃ সাইফুল ইসলাম কল্লোল