450
Published on মার্চ 2, 2015কাতারে যেতে কর্মীদের কোনো খরচ হবে না দাবি করে তিনি বলেন, সব খরচ সংশ্লিষ্ট নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি বহন করবে।
গত ২ মাসে কাতার সরকার ৫০ হাজার কর্মীর ভিসা অনুমোদন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ সব কর্মী আগামী ২থেকে ৩ মাসের মধ্যে কাতারে যাবে।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর ইস্কাটনস্থ প্রবাসী কল্যাণ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর নেতৃত্বে গত ২২ থেকে ২৭ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল কাতার সফর করেন।
ওই সফরের সময় তিনি কাতারের শ্রম মন্ত্রী ড. আব্দুল্লাহ সালেহ মুবারক আল খুলাইফিসহ দেশটির সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে জনশক্তি আমদানি খাতের সাথে জড়িত সংস্থ ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তারা। সফরের সফলতা তুলে ধরতেই আজ সোমবার এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ২০২২ সালে কাতারে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রস্তুতি কাজের (স্টেডিয়াম নির্মাণ ও রাস্তা সংস্করণসহ) জন্যই দেশটির সরকার বাংলাদেশ থেকে এসব কর্মী নেবে ।
রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী পাঠানো হবে জানিয়ে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ বলেন, সাধারণত কাতারের রিক্রটিং এজেন্সি আমাদের রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে লোক নিত।
একজন কর্মীর কাতারে যেতে ৩থেকে৪ লাখ টাকা খরচ হতো। এখন তা হবে না।
কাতারের শ্রমমন্ত্রী বলেছেন, কর্মী নেয়ার ক্ষেত্রে কোনো মধ্যস্থতাকারী থাকবে না। কাতারের রিক্রুটিং এজেন্সি দূতবাসের মাধ্যমে আমাদের ডিমান্ড লেটার পাঠাবে একথা উল্লেখ করে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, ‘কাতারের পাঠানো ডিমান্ড লেটার আমরা এজেন্সিগুলোকে (বায়রা) দিয়ে দেব। এতে ভিসা ট্রেডিংয়ের সুযোগ থাকবে না। আমাদের ডাটাবেজ থেকে ডিমান্ড লেটারের তিনগুণ কর্মীর তালিকা রিক্রুটিং এজেন্সিকে দেয়া হবে। সেখান থেকে তারা কর্মী বাছাই করে কাতারে পাঠাবে।’
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, আগে কাতার সরকার কর্মী নেওয়ার ক্ষেত্রে নেপাল, ভারত, ফিলিপাইনকে গুরুত্ব দিত। কিন্তু সে দেশের শ্রমমন্ত্রীর সাথে আমাদের প্রতিনিধি দল বৈঠক করার পর তিনি জানান, এখন থেকে কর্মী নেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে গুরুত্ব দেয়া হবে। ২০২২ সালের বিশ্বকাপের প্রস্তুতি উপলক্ষে বিদেশী শ্রমিক নেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দেযা হবে বলেও কাতারের শ্রম মন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছেন। এর মাধ্যমে কাতারে বাংলাদেশের শ্রমবাজার আগের অবস্থানে ফিরে যাবে বলে আশা প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অন্যান্যের মধ্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্তণালয়ের সচিব খন্দকার ইফতেখার হায়দার ও বিএমইটি’র মহাপরিচালক (ডিজি) বেগম শামসুন নাহার সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।