477
Published on ফেব্রুয়ারি 27, 2015শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক মানের একটি বার্ন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এটি প্রতিষ্ঠার জন্য একটি সুবিধামতো জায়গা খোঁজা হচ্ছে। যেখানে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণার ব্যবস্থা থাকবে। বৃহস্পতিবার প্লাস্টিক সার্জারির উপর অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক তিনি সম্মেলনে এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি ইতোমধ্যেই যত শিগগির সম্ভব দেশে আন্তর্জাতিক মানের একটি বার্ন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার জন্য একটি সর্বাধুনিক পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসতে ন্যাশনাল বার্ন ও প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটের অবৈতনিক উপদেষ্টা ডা. সামন্ত লাল সেনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এবং স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে এসপিএসবি প্রেসিডেন্ট ডা. সামন্ত লাল সেন, স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, এসপিএসবি সেক্রেটারি জেনারেল ডা. মো. আবুল কালাম এবং সম্মেলন আয়োজক কমিটি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) অঞ্জন কুমার দেব বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী দেশে ক্রমবর্ধমান বার্ন রোগীর চিকিৎসায় চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ ত্যাগের কথা উল্লেখ করে বার্ন চিকিৎসার এই বিশেষ সেক্টরকে জনপ্রিয় করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার স্বাস্থ্য সুবিধা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এ লক্ষ্যে সরকার দেশের প্রতিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং বিভাগীয় ও জেলা হাসপাতালে বার্ন ইউনিট চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশে জাতির পিতার উদ্যোগে স্বাধীনতার পরই প্লাস্টিক সার্জারির যাত্রা শুরু হয়। জাতির পিতা যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অর্থপেডিক সার্জন ডা. আর জে গাস্ট এবং ভারতের প্লাস্টিক সার্জন ডা. পি বাজেলিলকে এনেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর ক্ষমতায় আসার পরবর্তী সরকারগুলো বার্ন চিকিৎসার উন্নয়ন করেনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে তিনি প্রথম ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৭ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেশের প্রথম বার্ন ইউনিট প্রতিষ্ঠা করা হয়। এটি ২০০৯ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে একশ’ আসনে উন্নীত করা হয়েছে।
বার্ন ইউনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে সাম্প্রতিক পেট্রোল বোমা হামলায় অগ্নিদগ্ধদের অধিকাংশ লোকের জীবন রক্ষা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এ জন্য জাতির পক্ষে চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ছবিঃ ইয়াসিন কবির জয়