571
Published on ফেব্রুয়ারি 18, 2015গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) দ্বিতীয় বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এ কে এম শামীম চৌধুরী সাংবাদিকদের ব্রিফকালে বলেন, এ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে স্থানীয় ও বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজের অনুমোদন দেয়া হয়।
সভায় অন্যান্য বোর্ড সদস্যদের মধ্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী এ পর্যন্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় বোর্ডের সাফল্যের বিষয় সভায় অবহিত করেন।
ভিশন-২০২১ ও ৬ষ্ঠ পঞ্চ-বার্ষিক পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বেগবান করা, দারিদ্র্য বিমোচন, শিল্পায়ন ও দেশের সুষম উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১০ সালে বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন প্রণয়ন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক অর্থনৈতিক অঞ্চল থেকে বিনিয়োগকারীদের ওয়ান স্টপ সার্ভিস দিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
সভায় বলা হয়, আগামী ১৫ বছরে দেশে একশ’টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হবে। এতে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান এবং প্রতিবছর ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানির সুযোগ সৃষ্টি হবে।
অনুমোদিত এই ১৭ অর্থনৈতিক অঞ্চল মিরেরসরাই, গহিরা, মৌলভীবাজার, মংলা, সিরাজগঞ্জ, শ্রীপুর, সাবরং, কেরানীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, ভোলা, আশুগঞ্জ, জামালপুর, পঞ্চগড়, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, কুষ্টিয়া ও নীলফামারীতে প্রতিষ্ঠিত হবে।
এর মধ্যে শ্রীলপুর ও গহিরা অর্থনৈতিক অঞ্চল দুটি জাপান ও চীনের বিনিয়োগকারীদের জন্য নির্দিষ্ট থাকবে।
এর আগে কম্পট্রোলার ও অডিটর জেনারেল মাসুদ আহমেদ প্রধানমন্ত্রীর কাছে বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম সভায় উপস্থিত ছিলেন।
ছবিঃ সাইফুল ইসলাম কল্লোল