467
Published on ফেব্রুয়ারি 9, 2015প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম মোশাররফ হোসাইন ভূইয়া সাংবাদিকদের বলেন, এ অধিদপ্তর সরকারকে টেলিকমিউনিকেশন খাতে নীতি প্রণয়নে বৃত্তিমূলক ও কারিগরি সহায়তা দেবে। এটি খুবই কার্যকর ও ছোট অধিদপ্তর হবে। ৮১ ক্যাডারসহ এর স্থায়ী পদ হবে মাত্র ২৩৮টি। অবশ্য এই অধিদপ্তর ক্যাডার ও নন-ক্যাডার স্টাফসহ অনেক বেশি জনবল নিয়ে কাজ শুরু করবে। এর মধ্যে পর্যায়ক্রমে ৭ হাজার ৫৩৬টি স্টাফ অবলুপ্ত হবে।
এ বিভাগে বর্তমানে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিটিসিএল-এ প্রেষণে কর্মরত টেলিকমিউনিকেশন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের আত্মীয়করণ করা হবে।
ভূইয়া বলেন, সরকার নির্বাহী আদেশেই একটি মন্ত্রণালয়ের অধীনে অধিদপ্তর গঠন করতে পারে। কিন্তু এতে নীতিগত বিষয় জড়িত থাকায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ প্রস্তাবটি মন্ত্রিসভায় পেশ করে।
মন্ত্রিসভা সরকারি করপোরেশন (ব্যবস্থাপনা-সমন্বয়) আইন-২০১৫ প্রস্তাব পর্যালোচনার জন্য ফেরত পাঠায়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন করপোরেশনের কর্মকান্ডে সমন্বয় ও সামঞ্জস্য স্থাপনে সামরিক শাসনামলে এ অধ্যাদেশ জারি হয়। মন্ত্রিসভার অনেক সদস্য বিদ্যমান অধ্যাদেশটির অকার্যকারিতার প্রেক্ষাপটে এ আইনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেন।
মোশাররফ হোসাইন বলেন, মন্ত্রিসভা কমিটি প্রস্তাবিত আইনটির প্রয়োজনীয়তা যাচাই করে সরকারকে এ সম্পর্কে রিপোর্ট দেবে। কেবিনেট কমিটি এটি প্রয়োজনীয় বিবেচনা করলে তা অনুমোদনের জন্য আবারো মন্ত্রিসভায় পেশ করা হবে।
বৈঠকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রীর গতবছরের ৩ থেকে ৫ নভেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে অনুষ্ঠিত গৃহায়ন ও নগর উন্নয়ন শীর্ষক এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মন্ত্রিপর্যায়ের সম্মেলনে যোগদান সম্পর্কে অবহিত করা হয়।
এ ছাড়া গত ৯ থেকে ১২ ডিসেম্বর পেরুর লিমায় জলবায়ু পরিবর্তন শীর্ষক জাতিসংঘের ফ্লেম ওয়ার্ক কনভেনশনের আওতায় কপ-২০ সম্মেলনে পরিবেশ ও বনমন্ত্রীর যোগদান বিষয়েও বৈঠকে অবহিত করা হয়।
ছবিঃ সাইফুল ইসলাম কল্লোল