মধ্যপ্রাচ্যের ‘ইসলামিক স্টেট’ এর মতই অপরাধ করছে বিএনপিঃ প্রধানমন্ত্রী

377

Published on ফেব্রুয়ারি 6, 2015
  • Details Image

তিনি বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরাক ও সিরিয়ায় আইএস যা করছে, বিএনপি- জামায়াতও সেই রকম অপরাধ করছে। তাদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নাই।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা গতকাল গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের বৈঠকের উদ্বোধনী ভাষণে এ কথা বলেন।

বিএপি-জামায়াত জোটের হত্যা, অগ্নিসংযোগ, নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জনগণকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রবল প্রতিরোধের মাধ্যমে এ ধরনের অপরাধ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

শেখ হাসিনা এসএসসি পরীক্ষার প্রথমদিন শান্তিপূর্ণভাবে অতিবাহিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ১৫ লাখ পরীক্ষার্থীর জীবনের কথা বিবেচনা করে এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে হরতাল না দেয়ার জন্য খালেদা জিয়ার প্রতি আহবান জানান।

তিনি বলেন, ‘যদি আপনার প্রয়োজন হয়, তাহলে এসএসসি পরীক্ষার পরে হরতাল আহবান করেন।’

ছোট ছেলের (কোকো) অসুস্থতার সময় তাকে দেখতে না যাওয়ার জন্য খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমনকি তিনি (খালেদা জিয়া) তার কবর জিয়ারতের তাগিদও অনুভব করেননি।

তিনি প্রশ্ন করেন, ‘যেখানে একজন মায়ের তার নিজের মারা যাওয়া সন্তানের জন্য কোনো শোক নাই, সেখানে অন্য মানুষদের জন্য তার কিভারে দুঃখ ও সমবেদনা থাকে?’

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দ ভালো-মন্দের পার্থক্য বিচারের জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন। কাজেই তারা তাদের ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক স্বার্থকে লাখ লাখ পরীক্ষার্থীর শিক্ষা জীবনের ঊর্ধ্বে স্থান দিচ্ছেন।

এ পেট্রোল বোমা তৈরির অর্থ কারা যোগান দিচ্ছে- প্রশ্ন করে তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে তারা জনগণের উন্নতি ও কল্যাণ চায় না। তারা দেশের অগ্রগতিও চায় না।’

শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে অনেকেই বেগম জিয়ার সঙ্গে সংলাপের কথা বলছেন। কিন্তু বেগম জিয়া আমার সঙ্গে যে দুর্ব্যবহার করেছেন সেটা যদি তাদের সঙ্গেও করেন তখন তারা কি করবেন। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বেগম খালেদা জিয়াকে টেলিফোন করার বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, শুধুমাত্র দেশ ও জাতির জাতির স্বার্থের কথা ভেবে তিনি ১৯৭৫ সালের দুঃসহ স্মৃতি ও ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলার বিভীষিকাময় স্মৃতিসহ অতীতের সবকিছু ভুলে গিয়ে বেগম জিয়ার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন।

‘দেশবাসী দেখেছে বেগম খালেদা জিয়া তখন আমার সঙ্গে কি ব্যবহার করেছেন।’ তিনি দেশের তথাকথিত বৃদ্ধিজীবীদের কাছে জানতে চান- বেগম জিয়া যদি তাদের সঙ্গে এমন ব্যবহার করেন তবে কি তারা দ্বিতীয়বার সেখানে যাবেন?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এতো কিছুর পরও আমি তার পুত্র মারা যাওয়ার পর সমবেদনা জানানোর জন্য দ্বিতীয়বারের মতো বেগম জিয়ার কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু বেগম জিয়া যে আচরণ করেছেন তা আমাদের সমাজে খুবই অনভিপ্রেত।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেগম জিয়া তার বিলাসবহুল কার্যালয়ে বসে বিবৃতি প্রদানের মাধ্যমে দেশে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এটা কোন্ ধরনের গণ-আন্দোলন, যাতে কোনো জনসম্পৃক্ততা নেই? - তিনি জানতে চান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যখন অর্থনৈতিকভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সে সময় নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী এবং স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি দেশের অগ্রগতিতে সমস্যা সৃষ্টি করছে। তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশ এসব মোকাবেলা করেই এগিয়ে যাবে।

চলমান নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে দেশের জনগণের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে প্রয়োজনীয় সবকিছুই করছে।

ভাষণের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে উন্নীত হওয়ায় বাংলাদেশ ফুটবল দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানান।

TAGS:

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত