477
Published on জানুয়ারি 26, 2015সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন।
প্রথম পর্যায়ে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর ও নরসিংদী জেলায় কার্যকর এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে এ সব জেলা ব্যতীত অন্যান্য জেলায় গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কার্যকর করার বিধান করা হয়।
বিলে ভূমি অধিগ্রহণসহ আনুসাঙ্গিক বিষয়ে বিধান, মেট্রোরেল নির্মাণ, পরিচালনার জন্য লাইসেন্স প্রদানসহ আনুষাঙ্গিক বিষয়, প্রবেশাধিকার, কারিগরিমান অনুসরণ, ভাড়া নির্ধারণ, পরিদর্শক নিয়োগ, পরিদর্শকের ক্ষমতা, আপীল, দুর্ঘটনাজনিত কারণে ক্ষতিপূরণ, বীমা, আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তির চিকিৎসা, মেট্রোরেল ও যাত্রীর বাধ্যতামূলক বীমাকরণ, অপরাধ ও দন্ডসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধান করা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির এম এ হান্নান, স্বতন্ত্র সদস্য হাজী মো. সেলিম, রুস্তম আলী ফরাজী ও আব্দুল মতিন বিলের ওপর জনমত যচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব আনেন। এরমধ্যে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। বাকী প্রস্তাবগুলো কন্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
বিলের ওপর আনীত এসব সংশোধনী প্রস্তাবের বিষয়ে বক্তব্য দেয়ার সময় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সংসদকে জানান, আগামী ৩১ জানুয়ারি মেট্রো রেলের একটি টেন্ডার আহবান এবং পরবর্তী মাসে আরো দু’টি টেন্ডারসহ এ বছর মোট ৮টি টেন্ডার আহবান করা হবে। আর ২০১৬ সালে টেন্ডার কাজ সম্পাদনের পাশাপাশি মেট্রো রেলের আনুষ্ঠানিক নির্মাণ কাজ শুরু করা যাবে ।
মন্ত্রী সংসদকে জানান, এ মেট্রো রেল পথের দৈর্ঘ্য হবে ২০ কিলোমিটার, চলাচলের সময় মোট ১৬টা স্টেশন থাকবে এবং এতে প্রতিবারে ৬০ হাজার যাত্রী চলাচল করতে পারবে। তিনি জানান, ২০১৯ সালের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে।