531
Published on জানুয়ারি 21, 2015তিনি বলেন, উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এগিয়ে নেয়ার অন্যতম প্রধান বাধা প্রাকৃতিক দুর্যোগ। তবে এখন আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি মানবসৃষ্ট দুর্যোগের মুখোমুখি .... সব ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলা করে আমরা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, হরতাল ও অবরোধের নামে বিএনপি-জামায়াত জোটের চলমান সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ, গাড়িতে পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে মানুষ পুড়িয়ে মারা আপাতত এ ধরনের দুর্যোগই হলো মানবসৃষ্ট বিপর্যয়।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর অফিসে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের বৈঠকে সভাপতির বৈঠকে আজ এ কথা বলেন। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী পরিকল্পনা কমিশনেরও চেয়ারপার্সন।
সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এ কে এম শামীম চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হল। এর আগে ১৯৮৪ সালে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে স্বনির্ভর ও মর্যাদাপূর্ণ দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য অর্জন করতে হলে দেশীয় সম্পদের যথাযথ ব্যবহার করতে হবে, অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে এটা অর্জন করা যাবে না।
প্রধানমন্ত্রী ধাপে ধাপে প্রকল্প বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত এবং বাড়তি ব্যয় এড়াতে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প উন্নয়ন সমাপ্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
তিনি আরো কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং পাট ও পাটজাত পণ্য বাজারজাতকরণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণে এবং সরকারের ‘রূপকল্প-২০২১’ বাস্তবায়নে গৃহীত কার্যকর ব্যবস্থাগুলো সম্পর্কে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
তিনি বলেন, পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদের সরবরাহের বিষয়টিও বৈঠকে আলোচনা হয়।
বৈঠকে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যদের মর্যাদা বাড়িয়ে সিনিয়র সচিব ও বিভাগীয় প্রধানদের মর্যাদা সচিবের সমতুল্য করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
পাশাপাশি জেলা পর্যায়ে অফিস স্থাপনের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠ তদারকি জোরদারে ইমপ্লিমেন্টেশন মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন ডিভিশনের (আইএমইডি) জনবল বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়।
বৈঠকে ৪টি প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হয়। পরিকল্পনা কমিশনের সচিব ভুইয়া শফিকুল ইসলাম পরিকল্পনা কমিশনের সার্বিক কার্যক্রম এবং কমিশনের সামর্থ জোরদারে প্রস্তাবনা উত্থাপন করেন।
পরিসংখ্যান ও তথ্য বিভাগের সচিব সুরাইয়া বেগম এবং আইএমইডি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব শহিদুল ইসলাম নিজ নিজ বিভাগের সার্বিক কার্যক্রম তুলে ধরেন।
পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. শামসুল আলম ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০১৬-২০২০) তৈরিতে জেনারেল ইকোনমিকস ডিভিশনের (জিইডি) প্রস্তুতির বিষয় এক প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন।
এতে তিনি বলেন, ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা সঠিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।
স্বাধীনতার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনে দেশের খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদদের সমন্বয়ে পরিকল্পনা কমিশন গঠন করেন।
দেশের উন্নয়নের প্রয়োজনে বঙ্গবন্ধু প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এ এইচ এম মুস্তফা কামাল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবদুস সোবহান শিকদার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব আবুল কালাম আজাদ এবং পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট সচিবগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।