496
Published on ডিসেম্বর 30, 2014
এ বছরের ১৮ ডিসেম্বর রিজার্ভ সর্বকালের বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ২২.৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। রেমিটেন্স প্রবাহ এবং রফতানি বৃদ্ধির কারণে এটি হয়।
২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রবাসী বাংলাদেশীরা ১৪.৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেশে পাঠায়। গত বছর একই সময় পাঠিয়েছিল ১৩.২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটা ১১.২৭ ভাগ বেশি।
মাসওয়ারী হিসাবে এ বছরের জুলাই মাসে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স আসে। এর পরিমাণ ছিল ১.৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বিশ্বব্যাংকের মাইগ্রেশন এন্ড রেমিটেন্স ইউনিট এর আগে বলেছিল ২০১৪ সালে বাংলাদেশ ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি রেমিটেন্স পাবে এবং সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশের শ্রমিক নেয়া পুনরায় শুরু করলে ভবিষ্যতে এই রেমিটেন্সের প্রবাহ বাড়বে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে সৌদি আরব চাকরি পরিবর্তনের জন্য আকামা (ওয়ার্ক পারমিট) পরিবর্তনের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।
২০০৮ সাল থেকে গত ছয় বছর বাংলাদেশী শ্রমিকদেরকে তাদের ওয়ার্ক পারমিট পরিবর্তনের অনুমতি দেয়া হতো না।
দেশটি বাংলাদেশী শ্রমিক রিক্রুটও পুনরায় শুরু করে। প্রাথমিকভাবে গৃহকর্মী ও ড্রাইভার।
শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক সফরের সময় সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশ থেকে মাসে এক হাজার থেকে ২ হাজার নারী গৃহকর্মী রিক্রুট করার চুক্তিও স্বাক্ষর করে।
এটা বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়াবে।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো জানায়, এ বছরের জানুয়ারি থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪১১,০০০ বাংলাদেশী বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে। গত বছর একই সময় হয়েছিল ৪০৯,২৫৩ জনের। এ বছর হয়েছে কিছু বেশি।
২০১৪ সালে রেকর্ড পরিমাণ রিজার্ভ ও রেমিটেন্স প্রবাহ দেশের জিডিপি আউটলুক বৃদ্ধি করেছে।
এ ব্যাপারে গ্লোবাল ক্রেডিট রেটিং সংস্থা মুডি’র এক রিপোর্টে বলা হয়, শক্তিশালী রিজার্ভ ও রেমিটেন্স প্রবাহের কারণে বাংলাদেশ ইতিবাচক রেটিং অর্জন করেছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ বিশ্বে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স পাওয়া দেশের মধ্যে ৮ম।
বিপুল রিজার্ভ ও রেমিটেন্স প্রবাহ স্থানীয় মুদ্রা টাকার মান শক্তিশালী হিসাবে ধরে রাখতে সহায়তা করে। ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার ছিল ৭৭.৯০।