359
Published on ডিসেম্বর 29, 2014
স্পিকার ও সিপিএ চেয়াপার্সন সুইডেনের রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, সুইডেন বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু। দু’দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, খাদ্যদ্রব্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে বাংলাদেশে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। খাদ্যদ্রব্য প্রক্রিয়াজাতকরণের অভাবে অনেক খাদ্য নষ্ট হয়ে যায়। খাদ্যশস্যের প্রক্রিয়াজাতকরণকে আরো উন্নত করে এ শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিতে ভুমিকা রাখা যায় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
স্পিকার গত এপ্রিলে সুইডেনের স্টকহোমে অনুষ্ঠিত আইপিসিআই’র ৬ষ্ঠ সম্মেলনে তার অংশগ্রহণ এবং সম্মেলনে উপস্থাপিত বিভিন্ন বিষয়ের স্মৃতিচারণ করে বলেন, বাংলাদেশে প্রজনন অধিকার ও প্রজনন স্বাস্থ্য রক্ষা, সামাজিক ও স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার হ্রাস এবং বাল্যবিবাহ রোধে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।
তিনি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে তৃণমূল পর্যায়ে সংসদ-সদস্যদের নিয়ে জনসচেতনতা তৈরীতে পরামর্শ সভার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ রোধসহ মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার হ্রাসে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি করা সম্ভব। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে সহ¯্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার হ্রাসসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করেছে। সংসদ-সদস্যগণ তৃণমূল পর্যায়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে।
সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নারীর ক্ষমতায়ন, জেন্ডার সমতাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও স্বাস্থ্য সচেতনতার মাধ্যমে ডায়রিয়াসহ এ ধরণের অনেক রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। পুষ্টির ও জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন ঘটিয়ে শিশুমৃত্যুহার হ্রাসে আরও অনেকদূর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস, শিশু স্বাস্থ্য রক্ষা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি সাধিত হয়েছে এবং উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তৈরী পোশাকশিল্প, আসবাবপত্র ও চামড়াজাতদ্রব্যসহ বাংলাদেশের রপ্তানীবাণিজ্য এগিয়ে নেয়ার অনেক সুযোগ রয়েছে। তিনি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সুইডেনের অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, দ্রুত নগরায়ণের অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। দু’দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এ সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব। সবার জন্য স্বাস্থ্য এবং নারী ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়নে প্রত্যন্ত এলাকায় সকলের কাছে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছানোও একটা বড় চ্যালেঞ্জ। যেহেতু সংসদ-সদস্যগণ জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি তাই তারা এসব কাজে সরাসরি ভূমিকা রাখলে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সহজ হবে।