488
Published on ডিসেম্বর 29, 2014
ওয়াং বলেন, বাংলাদেশকে ২০২১ সালে একটি মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত করতে চীন সব ধরণের সহযোগিতা করবে।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এ কে এম শামীম চৌধুরী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত ছয় বছর ধরে দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশের যে ব্যাপক উন্নয়ন এবং অগ্রগতি হয়েছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, ‘সব ক্ষেত্রে দ্রুত উন্নয়নের কারণে এই অঞ্চলে বাংলাদেশ একটি অগ্রসরমান জাতিতে পরিনত হয়েছে।’
উন্নয়নের যে স্বপ্ন তা বাংলাদেশ ও চীনের একই, বাংলাদেশ যদি কার্যকরভাবে উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় তার সব সামর্থ্য এবং শক্তি ব্যবহার করে তাহলে তার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে বলে ওয়াং ই আশা প্রকাশ করেন।
আঞ্চলিক সহযোগিতার ব্যাপারে তিনি বলেন, বাংলাদেশ, চীন ও ভারতের মতো দেশের সমস্যা প্রায় একই ধরনের।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে আঞ্চলিক দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করতে একটি সেতু হিসেবে কাজ করতে পারে।’
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী, এই অঞ্চলের শান্তি বজায় রাখার পাশাপাশি কাঙ্খিত উন্নয়ন অর্জনে বাংলাদেশ আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মনে করেন।
ওয়াং ই বাংলাদেশ থেকে পাট ও পাটজাত সামগ্রি আমদানির ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, চীন কৃষিখাতে প্রযুক্তি সহায়তাসহ বাংলাদেশকে উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানের বীজ সরবরাহে প্রস্তুত।
বৈঠককালে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের জন্য চীনা উদ্যোক্তাদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, চীনের উচিত বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করা।
শেখ হাসিনা বলেন, উভয় দেশ দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্য অর্জনে পরস্পরকে সহযোগিতা করবে এবং সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা সহ কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মায়ানমারের মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই দেশসমূহের বৃহত্তর স্বার্থে সম্পর্ক দৃঢ় করা উচিত।
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ চায় আগামিবছর দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের চল্লিশ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে চীনের রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী যেন উপস্থিত থাকেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, ওই সময় বাংলাদেশ সফরকালে চীনের প্রেসিডেন্ট চট্টগ্রামে কর্নফুলী নদীর তলদেশে নির্মিতব্য টানেল-এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন’।
শেখ হাসিনা বলেন, চীন উন্নয়নের একটি ‘রোল মডেল’ এবং বাংলাদেশ তাদেরকে অনুসরন করবে। তিনি বলেন, ‘চীনের উন্নয়ন মানে এশিয়ার উন্নয়ন।’
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক চীন সফরের কথা স্মরন করে বলেন, এই সফরগুলো দু’দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আবুল কালাম আজাদ, চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন।