583
Published on ডিসেম্বর 24, 2014কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশন-সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হওয়ায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও এর অঙ্গ সংগঠন জাতীয় মহিলা সংস্থা, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি এবং মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তাকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ আহবান জানান।
গতকাল রাজধানীর বেইলী রোডস্থ জাতীয় মহিলা সংস্থা মিলনায়তনে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়।
সংবর্ধনা জবাবে স্পিকার. বলেন, ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র অর্জিত হয়েছিল বলেই বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে এখন মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আপন জায়গা করে নিয়েছে এবং বাংলাদেশ আজ স্বমহিমায় উদ্ভাসিত। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং এগিয়ে যাবেই।
তিনি বলেন, নারীদের ভূমিকার জন্যই সমাজ ও দেশে পরিবর্তন আসে। মা, বোন বা মেয়ের হাত ধরেই আমরা এতোদূর এগুতে পেরেছি।
কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশন (সিপিএ) প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কমনওয়েলথভূক্ত বিভিন্ন রাষ্ট্রের জাতীয় সংসদ ছাড়াও সেসব দেশের প্রাদেশিক সংসদের তৃণমূল পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিও সিপিএ’র সদস্য। সিপিএ’র অন্যতম এজেন্ডা নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা। সকল দেশের সংসদে যাতে নারীর ভূমিকা বৃদ্ধি পায় এবং অধিকসংখ্যক নারী যাতে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় এগিয়ে গিয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে সেলক্ষ্যে সিপিএ কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন সংগঠনেও যাতে নারীর প্রতিনিধিত্ব বাড়ে এবং নারীরা এগিয়ে যেতে পারে সে বিষয় নিয়েও সিপিএ কাজ করে থাকে।
তিনি বলেন, সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের তৃণমুল পর্যায়ে নারীর ক্ষমতায়নকে এগিয়ে নেয়ার অভিজ্ঞতা বিভিন্ন দেশের সামনে তুলে ধরার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিতে উল্লেখিত সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে পারলেই নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের কাংখিত লক্ষ্য অর্জিত হবে। নারীদের সামনে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করার ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে দেশকে অনেকদূর এগিয়ে নেয়া সম্ভব হবে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান সাবেক সংসদ-সদস্য অধ্যাপক মমতাজ বেগম, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তারিক-উল-ইসলাম এবং মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহিনা আহমেদ চৌধুরী ।